Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

শিল্প নগরী হলদিয়াতে সুস্থ কর্মসংস্কৃতি ফিরিয়ে আনার দায়িত্ব কেবল শ্রমিকদের নয়। মালিকপক্ষের সদিচ্ছাও প্রয়োজন। কিন্তু ইতিহাস সাক্ষী আছে, মালিকরা কখনও শ্রমিক স্বার্থ পূরণ করতে এগিয়ে আসে নি। তাই শ্রমিক ইউনিয়নের প্রয়োজন আছে। হলদ…

 




শিল্প নগরী হলদিয়াতে সুস্থ কর্মসংস্কৃতি ফিরিয়ে আনার দায়িত্ব কেবল শ্রমিকদের নয়। মালিকপক্ষের সদিচ্ছাও প্রয়োজন। কিন্তু ইতিহাস সাক্ষী আছে, মালিকরা কখনও শ্রমিক স্বার্থ পূরণ করতে এগিয়ে আসে নি। তাই শ্রমিক ইউনিয়নের প্রয়োজন আছে। হলদিয়াতে রয়েছে একটি MAJOR PORT আর সেই সাথে গড়ে উঠেছে একগুচ্ছ PORT BASED INDUSTRIES। এখানে প্রতিদিন অগনিত গাড়ি আসে। কোটি-কোটি টাকার পণ্যদ্রব্য পরিবাহিত হয়। ফলে, এই শিল্পনগরীতে কর্মরত আছেন অগণিত শ্রমিক। তাই, এখানে ট্রেড ইউনিয়নের ভূমিকা অসীম। গতকাল, কলকাতার সেচভবনে পূর্বমেদিনীপুর তৃণমূল কংগ্রেস জেলা সভাপতি ডঃ সৌমেন মহাপাত্রের মধ্যস্থতায় ও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মাননীয় আইনমন্ত্রী মলয় ঘটকের পৌরহিত্যে INTTUC রাজ্য সভাপতি মাননীয় ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় হলদিয়ার ট্রেড ইউনিয়ন নেতৃত্বদের সাথে বসেন। এই সভায় কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। আশাকরি, হলদিয়ার ট্রেড ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দ উক্ত সিদ্ধান্ত কার্যকরী করবেন। এক্ষেত্রে, একজন হলদিয়ার সাধারন নাগরিক হিসেবে হলদিয়া তথা জেলা তথা রাজ্যের সংশ্লিষ্ট নেতৃত্বগনের কাছে আমার বিনীত নিবেদন তাঁরা যেন হলদিয়ার বিভিন্ন গেটের নেতৃত্ব নির্বাচনের সময় নিম্নলিখিত বিষয়গুলির প্রতি নজর রাখেন---


ক) মালিক স্বার্থ ও শ্রমিক স্বার্থ যেন কোনও একজনের হাতে না যায়। অর্থাৎ বিড়ালকে যেন মাছ রক্ষার দায়িত্ব না দেওয়া হয়। যিনি , কোনও কোম্পানির মালিক হোন আবার তিনিই যদি সেই কোম্পানির শ্রমিক স্বার্থ রক্ষার দায়িত্ব পান তাহলে এরচেয়ে হাস্যকর আর কিছুই হতে পারে না।


খ) সম্প্রতি তৃণমূল পার্টিতে যে ONE MAN ONE POST নীতি গৃহীত হয়েছে তা যেন হলদিয়াতে বিশেষভাবে প্রতিফলিত হয়। উদাহরণত, কেউ যদি যুবর (YOUTH) কোনও গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকেন তাহলে তাঁকে যেন ট্রেড ইউনিয়নের কোনও দায়িত্ব না দেওয়া হয়।


গ) তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যের সর্বত্র আধিপত্য বিস্তার লাভ করেছে। হলদিয়াতেও বামফ্রন্টের নিশ্ছিদ্র দুর্গ 2011তে পতন হয়েছিল। কিন্তু, গত 2016 ও 2021 সালে তৃণমূলকে হলদিয়াবাসী প্রত্যাখ্যান করেছে। এর কারন প্রথমত, মিরজাফরি শাসন। দ্বিতীয়ত, মাদার কমিটির সাথে অন্যান্য শাখা সংগঠনের সমন্বয়ের অভাব। বিশেষ করে ট্রেড ইউনিয়ন ও যুবগোষ্ঠীর নেতাদের সীমালঙ্ঘনের ফলে হলদিয়ার শ্রমিক ও যুবক সমাজ তৃণমূল থেকে মুখ ফিরিয়েছে। মাদার সংগঠনের নির্দেশিকার প্রতি অবমাননা ও সীমালঙ্ঘন এর জন্য দায়ী। মাদার কমিটিকে তোয়াক্কা না করে ফাঁকা মাঠে গোল দিয়ে রাতারাতি নেতা সাজার দুর্বীনিত ও দুঃসাহসী পদক্ষেপ এরজন্য দায়ী। তাই, একদিকে যুবগোষ্ঠীর লাগাম এখন থেকে না ধরলে যেমন অধিকারি পরিবারের বিকল্প একটি পরিবার মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে পারে তেমনি ট্রেড ইউনিয়ন নেতা নির্বাচনের সময় দীর্ঘ অভিজ্ঞতা সম্পন্ন একটি স্বচ্ছ ভাবমূর্তিসম্পন্ন নেতৃত্ব নির্বাচন না করলে হলদিয়া চির তিমিরে বিলীন হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যাবে।


আশাকরি, তৃণমূলের যোগ্য নেতৃবৃন্দ হলদিয়ার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করবেন।

No comments