এক মাসের বেশি সময় ধরে দপ্তরে আসছেনা কৃষি আধিকারিক। কৃষি দপ্তরে অভিযোগ জানাল শাসকদলের কর্মচারী ফেডারেশন। তাদের অভিযোগ কৃষি আধিকারিক এর অনুপস্থিতির ফলে এলাকার বহু কৃষক হয়রানির শিকার হচ্ছে। ফেডারেশনের দাবি এসিস্ট্যান্ট ডাইরেক্টর অ…
এক মাসের বেশি সময় ধরে দপ্তরে আসছেনা কৃষি আধিকারিক। কৃষি দপ্তরে অভিযোগ জানাল শাসকদলের কর্মচারী ফেডারেশন। তাদের অভিযোগ কৃষি আধিকারিক এর অনুপস্থিতির ফলে এলাকার বহু কৃষক হয়রানির শিকার হচ্ছে। ফেডারেশনের দাবি এসিস্ট্যান্ট ডাইরেক্টর অফ এগ্রিকালচার ঈশিতা মন্ডল এক মাসের বেশি সময় ধরে নন্দকুমার নিজের দপ্তরে আসছেন না। উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে কোন রকম ছুটির আবেদন না করে ওই কৃষি আধিকারিক অনুপস্থিত থাকছেন বলে অভিযোগ। এদিকে অনুপস্থিতির ফলে হয়রানির শিকার হচ্ছেন এলাকার বহু কৃষকরা। কৃষক বন্ধু সহ একাধিক সরকারি প্রকল্পের আবেদন জমা দিতে এসে তারা সমস্যায় পড়ছেন বলে অভিযোগ। এ ব্যাপারে ইতিমধ্যেই তমলুক মহাকুমার এসিস্ট্যান্ট ডাইরেক্টর অফ এগ্রিকালচার অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা কমিটি। সংগঠনের জেলা সভাপতি শ্যামল পট্টনায়ক বললেন কৃষি আধিকারিক দিনের-পর-দিন বিনা নোটিশে অনুপস্থিত থাকছেন এর জন্য সাধারণ মানুষ চরম হয়রানির মুখে পড়েছেন কিন্তু চুক্তিভিত্তিক চতুর্থ শ্রেণীর কর্মী লকডাউন এর জন্য অফিসে উপস্থিত না থাকলে তার বেতন কেটে নেওয়া হয়। যদিও নন্দকুমারের কৃষি আধিকারিক ঈশিতার দাবি তিনি অসুস্থ বলে দপ্তরে যেতে পারেননি ।তাঁর কথায় আমি শারীরিক অসুস্থতার কারণে অফিসে যেতে পারিনি। উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে মৌখিকভাবে এনিয়ে জানিয়েছি। লিখিতভাবে অবশ্যই জানানো হয়নি। ওই আধিকারিকের দাবি দপ্তরে হাজির না থাকলেও কাজের কোনো অসুবিধা হচ্ছে না। ওই কৃষি আধিকারিককে যে অফিসে যাচ্ছেন না তা তিনি জানেন না বলে জানিয়েছেন এডিএ ( এডমিন) তমলুক জগদিশ মাইতি। তিনি বললেন উনি যে একমাস ধরে অফিসে আসছেন না সেটাই আমি জানতাম না। আবেদন জমা পড়ার পরে এ দিয়ে নন্দকুমার এর সাথে যোগাযোগ করলে উনি বললেন ক্যাজুয়াল লিভ নিয়েছেন। ইএলের জন্য আবেদন করবেন।
No comments