করোনার ভ্যাকসিন নিতে এসে চরম অব্যবস্থা ও হয়রানির শিকার ভগবানপুরের বহু মানুষ।ভগবানপুর হাসপাতলে চলছে করোনার টিকা দেওয়ার কাজ। এই মুহূর্তে ৪৫ বছরের উর্ধ্বে থাকা মানুষজনকে করোনার দ্বিতীয় ডোজ এর টিকা দেওয়া হচ্ছে। ভোররাত থেকে বহু মা…
করোনার ভ্যাকসিন নিতে এসে চরম অব্যবস্থা ও হয়রানির শিকার ভগবানপুরের বহু মানুষ।
ভগবানপুর হাসপাতলে চলছে করোনার টিকা দেওয়ার কাজ। এই মুহূর্তে ৪৫ বছরের উর্ধ্বে থাকা মানুষজনকে করোনার দ্বিতীয় ডোজ এর টিকা দেওয়া হচ্ছে। ভোররাত থেকে বহু মানুষ বয়স্ক মানুষ মূলত বয়স্ক মানুষ এসে হাজির হয়েছেন হাসপাতাল চত্বরে। নাম লেখানো বা সিরিয়াল নম্বরের কোন ব্যবস্থা না থাকায় লাইন দিয়ে দাঁড়াতে হয়েছে বহু মানুষকে। যেখানে কোনভাবেই মানা হয়নি স্বাস্থ্যবিধি, সামাজিক দূরত্ব। এর ফলে চরম সমস্যায় ও উদ্বেগের মধ্যে পড়েছেন ভ্যাকসিন নিতে আসা মানুষজন ও তাদের পরিবার পরিজন। প্রচন্ড গরম ও ভিড়ের কারণে কেউ কেউ অসুস্থ হয়ে পড়েন। চাহিদা মতন ভ্যাকসিন না থাকায় এই অতিরিক্ত বিল বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে। তবে ভিড় সামাল দেওয়ার বা পদ্ধতি মেনে এক এক দিনে কতজন মানুষকে টিকা দেওয়া সম্ভব, কোন এলাকার মানুষ আসবেন, কতজন মানুষ আসবেন তা নির্দিষ্ট করে তালিকাভুক্ত করে কেবলমাত্র সেইসব মানুষদের উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ না দেওয়ায় এই অবস্থা বলে অভিযোগ হয়রানির শিকার মানুষজনের।
কেউ এসেছেন কাক ভোর থেকে কেউ বা সকাল সাতটা থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে ভ্যাক্সিনের দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার অপেক্ষা।
তবে তা যে এতটা সমস্যায় পড়বেন বুঝতে পারেনি কেউই, সাত সকাল থেকে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে প্রায় দুই হাজারের বেশি মানুষ, কিন্তু ভ্যাক্সিন দেওয়া হবে মাত্র ৩০০ জনকে। যা নিয়ে বার বার একই অভিযোগ উঠে আসে ভগবানপুর গ্রামীণ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। এমনকি তাঁদের অভিযোগ আশাকর্মীদের ফোন পেয়ে তবেই এসেছেন ভ্যাক্সিন নিতে, কিন্তু নেই দূরত্ব বিধি বজায়, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বা পুলিশ প্রশাসন নিরব দর্শক। এমনকি অতিরিক্ত ভিড় নিয়ন্ত্রণ না করে লাঠি উঁচিয়ে ভয় দেখানোর অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে।
No comments