কোভিড আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যুকে ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠল পাঁশকুড়ার বড়মা হাসপাতাল।শনিবার সকাল ৯ টা নাগাদ মৃত্যু হয় তমলুকের এক করণা আক্রান্ত ব্যক্তির। তিনি তমলুক পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি ছিলেন বলে জানা গিয…
কোভিড আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যুকে ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠল পাঁশকুড়ার বড়মা হাসপাতাল।শনিবার সকাল ৯ টা নাগাদ মৃত্যু হয় তমলুকের এক করণা আক্রান্ত ব্যক্তির। তিনি তমলুক পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি ছিলেন বলে জানা গিয়েছে।হাসপাতাল সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী মৃত ওই ব্যক্তি জেলার আইএনটিটিইউসি সভাপতি দিব্যেন্দু রায়ের অনুরোধে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন।তৃণমূল ওই নেতার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই দুপুর ১২ টা নাগাদ প্রায় শ'খানেক চড়াও হয় কোভিদ হাসপাতালে।হাসপাতালের চিকিৎসা একাধিক আসবাবপত্র ভাঙচুর করে তারা।করণা আক্রান্ত জটিল রোগীরা হাসপাতালে ভর্তি থাকায় হাসপাতালের চিকিৎসক ভাস্কর রায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালান।অভিযোগ সেইসময় চিকিৎসক ও বেশকিছু নার্সকে মারধর করে ওই উত্তেজিত জনতা।চিকিৎসকের মাথা ফাটিয়ে দেন বলেও অভিযোগ।এই বিষয়ে হাসপাতালের রিশেসানিস্ট নবনীতা রায় বলেন-"আমি প্রতিদিনের মতো জেনারেল ওয়ার্ডে গিয়েছিলাম পেশেন্টের আপডেট নেওয়ার জন্য।ঠিক সেই সময় শুনতে পাই বেশ কিছু আওয়াজ এর পর নিচে এসে দেখি প্রায় শতাধিক লোক হাসপাতালে জিনিসপত্র ভাঙ্গাভাঙ্গি করছে।আমি সেই সময় আমার ফোন খুলে ভিডিও করি। আমার ওপর অকথ্য ভাষায় গালাগালি করা হয় এবং আমাকে তুলে নিয়ে যাবার হুমকি দেয়। ক্যামেরা বন্ধ করতে বলে কিন্তু বন্ধ না করার জন্য একটি চেয়ারের টুকরো আমার দিকে লক্ষ্য করে ছুড়ে মারে।এবং আমাদের ডাক্তারবাবু ভাস্কর রায়ের মাথা ফাটিয়ে দেয় এবং একাধিক হাসপাতালের স্টাফ কে মারধর করে।এই মুহূর্তে আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।আমরা চাইছি সরকার সিকিউরিটি ব্যবস্থা করুক।" মেডিকেল ডিরেক্টর ডক্টর ভাস্কর রায় বলেন-"১৩ তারিখ রাতে ওই প্রেসেন্টটি ভর্তি হন আমাদের হাসপাতালে তখন তার অবস্থা খুব একটা ভালো ছিল না। আমরা আমাদের সাধ্যমত চিকিৎসা করি কিন্তু আজ সকাল ন'টা নাগাদ ওই পেশেন্টটি মারা যান। মারা যাওয়ার খবর শুনে প্রায় ১০০ জন ব্যাক্তি এসে হাসপাতালের একাধিক জিনিসপত্র ভাঙচুর করে। আমার মাথা ফাটিয়ে দেয় ও হাসপাতালের একাধিক স্টাফ কে মারধর করে। যিনি মারা গেছেন উনি তৃণমূলের কোন নেতা ছিলেন। এই হাসপাতালের যিনি মালিক আফজাল শা উনি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গেছেন। তৃণমূল-বিজেপি ঝামেলার মাঝে আমরা ডাক্তাররা মার খেলাম। আমার মনে হয় এটা পুরোপুরি পূর্বপরিকল্পিত ঘটনা।"পরে পাঁশকুড়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।পুরো বিষয় খতিয়ে দেখছে পাঁশকুড়া থানার পুলিশ। ঘটনায় চিকিৎসক থেকে নার্স সবাই আতঙ্কিত।
No comments