Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

ব্রেকিং!! প্রায় ৪ কোটি টাকা খরচ করে করোণায় মৃত দেহ সৎকারের জন্য হলদিয়া পৌরসভায় ইলেকট্রিক চুল্লি তৈরি উদ্যোগ

কোভিদ ১৯ মৃতদেহের সৎকার করার সুবিধার জন্য প্রায় চার কোটি টাকা খরচ করে ডবল চেম্বার বিদ্যুতিক চুল্লি করার উদ্যোগ নিল হলদিয়া পৌরসভা । হলদিয়া রায় রাঞ্যাচকে হলদি নদীর তীরে ৩ একর জমি উপর তৈরি হবে। ইতিমধ্যে জমি চিহ্নিত হয়েছে। রাজ্য…

 




কোভিদ ১৯ মৃতদেহের সৎকার করার সুবিধার জন্য প্রায় চার কোটি টাকা খরচ করে ডবল চেম্বার বিদ্যুতিক চুল্লি করার উদ্যোগ নিল হলদিয়া পৌরসভা । হলদিয়া রায় রাঞ্যাচকে হলদি নদীর তীরে ৩ একর জমি উপর তৈরি হবে। ইতিমধ্যে জমি চিহ্নিত হয়েছে। রাজ্যের পুরো ও নগর উন্নয়ন দপ্তর ইলেকট্রিক চুল্লি গড়ার  অর্থ দেবে বলে জানিয়েছেন পৌর কর্তৃপক্ষ। শিল্প শহরে ইলেকট্রিক চুল্লি না থাকায় দীর্ঘদিন ধরে সমস্যা হচ্ছিল। গত এক বছর ধরে  করোনা মৃত দেহ সৎকার সাধারণ শ্মশানে দাহ করতে গিয়ে বাসিন্দাদের বাধায় মুখে পড়ে বারবার ।বিপাকে পড়তে হয়েছে পুলিশ প্রশাসন ও পৌর কর্তৃপক্ষ কে ।সেজন্যই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেনপৌরসভা।

 হলদিয়া পৌরসভার চেয়ারম্যান সুধাংশু শেখর মন্ডল বলেন ইলেকট্রিক চুল্লি যুক্ত শ্মশান করার জন্য পৌর ও নগর উন্নয়ন দপ্তর ইতিমধ্যে  স্পট ভেরিফিকেশন করেছে। জরুরী ভিত্তিতে কাজ করা হবে। শুধু হলদিয়া নয় প্রয়োজনে আশপাশের ব্লক এলাকায় মৃতদেহ সৎকার করা হবে। বসতি এলাকা থেকে দূরে পৌরসভা একটি বড় শ্মশান রয়েছে। তারই পাশে নতুন ইলেকট্রিক চুল্লি বসবে । চুল্লি সচল রাখতে এবং খরচ সাশ্রয় করতে প্রতিদিন গড়ে তিন থেকে চারটি দেহ দাহ করা দরকার কিন্তু সমস্যা হল শিল্প শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে বিশেষত গ্রামগুলিতে পঞ্চাশটির বেশি বড় বড় শ্মশান চালু রয়েছে। অভিযোগ, পৌরসভার কাউন্সিলরদের একাংশের অসহযোগিতা এবং বিভিন্ন ওয়ার্ডের গ্রাম কমিটি বাধার কারণে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ করা যায়নি। সময়মতো ইলেকট্রিক চুল্লি না বসানোর ফলে  এখন করোনা সময় বিপাকে পড়তে হচ্ছে পৌর কর্তৃপক্ষ কে। পৌরসভার সূত্রে জানা যায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ৩০ দিনে পৌর এলাকার ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া করণা উপসর্গ নিয়েও বেশ কয়েকজন মৃত্যু হয়েছে হলদিয়া। করোণা আক্রান্তের সংখ্যা ৮০০ছাড়িয়েছে। সংক্রমণের হার ৭০ শতাংশের ওপর ।শিল্প শহর সংক্রামক মৃত্যুর হার বেশি হওয়ায় উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য দপ্তর ।এদিকে করোনায় আক্রান্তের মৃতদেহ সৎকার নিয়ে গত একমাস ধরে নানা প্রশাসনিক বিভ্রান্তিও ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন মৃতদের পরিবার। এখ আধিকারিক বললেন প্রথমদিকে গাইডলাইন সমস্যার জন্য বিভ্রান্তি হচ্ছিল ফলে হাসপাতালের মর্গে দেহ পড়ে থাকা ঘটনা ঘটেছিল। শববাহী গাড়ি চালক করণায় আক্রান্ত হয় ।সমস্যা ছিল করোনায় মৃত দেহ বহনের জন্য। পৌরসভা আলাদা গাড়ি নির্দিষ্ট করেছেন ।পৌরসভার নিজের খরচে মৃতদেহ সৎকার করছে। এজন্য আলাদা নোডাল অফিসার নিয়োগ করা হয়েছে। এবং একটি সৎকার টিম তৈরি হয়েছে এই টিমকে পৌরসভার তহবিল থেকে ৬০ হাজার টাকা দেয়া হয়েছে।




No comments