রাজ্যে ২১শে বিধানসভা নির্বাচনে জেলার সবচেয়ে হেভিওয়েট কেন্দ্র নন্দীগ্রাম। এখানে দাঁড়িয়ে ছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার কেবিনেট প্রাক্তন মন্ত্রী বর্তমান বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং সংযুক্ত মোর্চা প…
রাজ্যে ২১শে বিধানসভা নির্বাচনে জেলার সবচেয়ে হেভিওয়েট কেন্দ্র নন্দীগ্রাম। এখানে দাঁড়িয়ে ছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার কেবিনেট প্রাক্তন মন্ত্রী বর্তমান বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং সংযুক্ত মোর্চা প্রার্থী মীনাক্ষী মুখার্জি। ভোট গণনায় মমতা ব্যানার্জি পরবর্তীকালে শুভেন্দু অধিকারী জয়ী ঘোষণা করা। দুই দলের কর্মীদের উত্তেজনা চরমে উঠে। নন্দীগ্রাম বিধানসভা পুনর্গণনার দাবি নিয়ে তৃণমূল যুব কংগ্রেস আজগর আলি পল্টু নেতৃত্বে দুর্গাচক গণনা কেন্দ্রের সামনে পাঁচদিনের অবস্থান-বিক্ষোভ চলে। পরবর্তীকালে জেলাশাসকের হস্তক্ষেপে তাদের দাবি মেনে নিলে অবস্থান-বিক্ষোভ উঠে যায় কিন্তু নন্দীগ্রাম কি হল। নন্দীগ্রামের হাত ধরে পালাবদল হয়েছিল ৩৪ বছরের বাম ক্ষমতায় অবসান। এসেছিল জোড়া ফুল মা মাটি মানুষের সরকার তৃণমূল। একুশে বিধানসভা নির্বাচনের পরবর্তী কালে নন্দীগ্রাম অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। হিন্দু-মুসলমানের সম্প্রীতি নষ্ট হচ্ছে বলে ওই এলাকার মানুষের দাবি। ইতিমধ্যে ব্লক প্রশাসনের উদ্যোগে সর্বদলীয় সভা হয়েছে শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্য ।নন্দীগ্রাম প্রশাসনের উদ্যোগে প্রত্যেকদিন মাইক প্রচার চলছে। বর্তমান শাসক দল বিরোধী প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি কেউ মাঠে নামেনি শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্য।বামপন্থী সংগঠনের প্রতিনিধি দুই হেভিওয়েট প্রার্থীর সঙ্গে যিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন মীনাক্ষী আজ নন্দীগ্রামে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার প্রতিবাদে ২৫ সে বৈশাখ রবিবার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর জন্মদিনে নন্দীগ্রামে সংযুক্ত মোর্চা প্রার্থী মীনাক্ষী মুখার্জীর নেতৃত্বে এক শান্তি মিছিল হয়। পূর্ব মেদিনীপুর এর নন্দীগ্রামের টেঙ্গুয়া বাস স্ট্যান্ড থেকে নন্দীগ্রাম হাসপাতাল ও থানার পাশ দিয়ে নন্দীগ্রাম বাজারে এসে পথসভার পরে শেষ হয়।সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থী মীনাক্ষী মুখার্জী বলেন মানুষের সাথে মানুষের বিভেদ কখনো কোনো ধর্ম নয়, ভাষা রাজনীতিকে সামনে রেখে হতে পারেনা।মানুষ ভোট দিয়েছিলেন হিংসা, খুনোখুনি, রাহাজানি থেকে বাঁচতে।কিন্তু ভোট পরবর্তীতেও শুধু নন্দীগ্রাম নয় সারারাজ্য জুড়ে মানুষ সেই প্রতিহিংসার শিকার।সেই প্রতিহিংসার প্রতিবাদে এই শান্তি মিছিল।
No comments