আজকের পাঁশকুড়া তমলুক বাসরাস্তাটি হল আসলে অধুনালুপ্ত কাঁসাইয়ের শাখা লোককথিত বেহুলা নদীর দক্ষিণ পাড়ের বাঁধরাস্তা। সেকালে বেহুলা নদী প্রতাপপুরের পরে চাঁচিয়াড়া আটবেড়িয়া রঘুনাথবাড়ি প্রভৃতি গ্রামের পাশ দিয়ে প্রবাহিত হয়ে রূপনারায়ণে…
আজকের পাঁশকুড়া তমলুক বাসরাস্তাটি হল আসলে অধুনালুপ্ত কাঁসাইয়ের শাখা লোককথিত বেহুলা নদীর দক্ষিণ পাড়ের বাঁধরাস্তা। সেকালে বেহুলা নদী প্রতাপপুরের পরে চাঁচিয়াড়া আটবেড়িয়া রঘুনাথবাড়ি প্রভৃতি গ্রামের পাশ দিয়ে প্রবাহিত হয়ে রূপনারায়ণে পড়েছিল। এই বাঁধরাস্তা বহু মহামানবের চরণস্পর্শে ধন্য। অর্ধেন্দুশেখর সামন্তরায়ের কী করে রঘুনাথবাড়ি হল গ্রন্থের তথ্য অনুসারে ১৫১০ সালে শ্রীচৈতন্যদেব তমলুক থেকে এই নদীবাঁধ ধরে কটক রাস্তা বরাবর পায়ে হেঁটে পুরীতে গিয়েছিলেন। যাত্রাপথে পুরুষোত্তমপুরে চরণচিহ্ন রেখেছিলেন। ইতিহাসে আছে ১৯৩৮ সালের ১১ এপ্রিল সুভাষচন্দ্র বসু পাঁশকুড়া রেল স্টেশনে নেমে কনভয় নিয়ে এই রাস্তা ধরে তমলুকের জনসভায় গিয়েছিলেন। যাত্রাপথে স্থানীয় আটবেড়িয়া গৌরাঙ্গপুর চণ্ডীপুর প্রভৃতি গ্রামের অধিবাসীদের আবেদনে জোড়াপুকুরে কনভয় থামিয়ে একটি ছোট জনসভাও করেছিলেন। আবার ১৯৬১ সালে ভূদান যজ্ঞের নেতা আচার্য বিনোবাভাবেও এই রাস্তা ধরে বেড়াবেড়িয়া গ্রামের ডা সুরেন্দ্রনাথ গায়েনের বাড়ি হয়ে মহিষাদলে গিয়েছিলেন। এদের চরণরেণুপূত এই পথ আমাদের কাছে পরম গৌরবের। নীচে বইয়ের প্রচ্ছদের মানচিত্রের মাঝ বরাবর মোটা রেখাটি বেহুলা নদীর মজা খাদ। তার নীচের রেখাটি পাঁশকুড়া তমলুক বাসরাস্তা আর উপরের রেখাটি পাঁশকুড়া হলদিয়া/ দিঘা রেলপথ।(কেউ নকল বা কপি পোস্ট করবেন না। তথ্যসূত্র- ষোড়শ জনপদকথা ISBN 81- 89039 - 77 -4 / ।)
No comments