দেশে ও রাজ্যে কোভিড ১৯ দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে। মহামারি আকার ধারণ করেছে সারাদেশে। রাজ্যের কলকাতা শহরে সংক্রামন সংখ্যা বেড়েই চলেছে। অসুস্থ রোগীদের হাসপাতাল পর্যন্ত পৌঁছানোর মত পর্যাপ্ত এম্বুলেন্স না থাকায় কোভিড ১৯ রোগীদেরহাস …
দেশে ও রাজ্যে কোভিড ১৯ দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে। মহামারি আকার ধারণ করেছে সারাদেশে। রাজ্যের কলকাতা শহরে সংক্রামন সংখ্যা বেড়েই চলেছে। অসুস্থ রোগীদের হাসপাতাল পর্যন্ত পৌঁছানোর মত পর্যাপ্ত এম্বুলেন্স না থাকায় কোভিড ১৯ রোগীদেরহাস পাতাল নিয়ে যাবার জন্য প্রয়োজনীয় অ্যাম্বুলেন্সের টান পড়তে শুরু হয়েছে এই পরিস্থিতিতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার কথা ঘোষণা করল সিআইটিইউ অনুবাদিত অ্যাপ ক্যাব মালিক ও চালক সংগঠন। কলকাতা ওলা উবের অ্যাপ ক্যাব অপারেটর এন্ড ড্রাইভার ইউনিয়নের সভাপতি ইন্দ্রজিৎ ঘোষ এই উদ্যোগের কথা জানান। তিনি বলেন আক্রান্ত রোগীদের বাড়ি থেকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে তারা সংগঠনের তরফ ৩০০ অ্যাপ ক্যাবের একটি পুল তৈরি করেছেন। শহরের চার প্রান্তে চারটি যোগাযোগের মোবাইল নম্বর নির্দিষ্ট করা হয়েছে এই গাড়ি বুকিং এর জন্য নম্বর গুলি হল 9007 774 116/ 9874 4040 40 /9 7484 63237 এবং 967 4000 858 রোগীর বাড়ি থেকে হাসপাতাল পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট সময়ের অ্যাপ ক্যাবের যা ভাড়া সে টাই এই বিশেষ এম্বুলেন্স সার্ভিসের জন্য নেওয়া হবে। আর চালকের সুরক্ষার জন্য প্রতিটি রাইডের ক্ষেত্রে তাকে যে পিপিই কিট পরতে হবে তারা দাম আলাদাভাবে দিতে হবে। গ্রাহকদের হাসপাতলে পৌঁছানোর পর প্রতিবার সংশ্লিষ্ট গাড়ি পুরোপুরি স্যানিটাইজার করা হবে তার জন্য খরচ সংগঠন বহন করবে।
গড়ে প্রতিদিন রাজ্যে করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন ১৪ হাজার মানুষ। গত ২ দিন ধরে আবার ১৫ হাজারের আশপাশে ঘোরাফেরা করছে নতুন সংক্রমিতের সংখ্যা। স্বাস্থ্য পরিষেবা সামাল দিতে হিমসিম খাচ্ছে সরকারি থেকে বেসরকারি হাসপাতালগুলি। এমতাবস্থায় কোভিড আক্রান্ত রোগীদের হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করে দিতে চাইছে সিপিএমের শ্রমিক সংগঠন।আপাতত ৩০০টি অ্যাপ-ক্যাব নিয়ে শুরু হচ্ছে এই পরিষেবা। ৪ জন স্বেচ্ছাসেবকের মোবাইল নম্বর নেটমাধ্যমে দেওয়া হয়েছে। আপতকালীন নম্বরে ৪ জন স্বেচ্ছাসেবক কাজ করবেন ২৪ ঘণ্টা। তাঁদের ফোন করে কোভিড আক্রান্ত রোগীর অবস্থান জানিয়ে কোনও নির্দিষ্ট হাসপাতালে যেতে চাইলেই অল্প সময়ের ব্যবধানে পাওয়া যাবে অ্যাপ-ক্যাব। সিটু-র পশ্চিমবঙ্গ শাখার সম্পাদক অনাদি সাহু বলেন, ‘‘জরুরি ভিত্তিতে এই পরিষেবা শুরু করা হল। ধীরে ধীরে অ্যাপ-ক্যাবের সংখ্যা বাড়ানো হবে। কোভিড আক্রান্ত রোগী যাতে কোনও ভাবেই বিনা চিকিৎসায় মারা না যান, সে কথা মাথায় রেখেই আমরা এই পরিষেবা শুরু করলাম।’’ তবে পাল্টা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, যে সমস্ত ক্যাব চালকরা সংক্রমিত রোগীদের পরিষেবা দেবেন, তাঁদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কী ভাবছে সিটু? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেছেন, ‘‘কোনও চালককে তাঁর অনিচ্ছা সত্ত্বেও এই পরিষেবা দিতে জোর করা হবে না। আর যাঁরা পরিষেবা দেবেন, তাঁদের মাস্ক ও স্যানিটাইজার ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সেই সঙ্গে সামাজিক দূরত্ব মেনেই এই পরিষেবা দেবেন তাঁরা।’’
No comments