করোণা আবহে দুই হাজার কুড়ি সালে দুর্বিষহ ভাবে মানুষ জীবন যাপন করেছে । কখনো সরকার লকডাউন ঘোষণা করেছে। বহু মানুষকে কর্মচ্যুত হতে হয়েছে। বিভিন্ন রাজ্য থেকে তাদেরকে ফিরতে হয়েছে। কেউবা হেঁটে, সাইকেলে চড়ে, কেউ বা ট্রেনে ঝুলে ।বহু মা…
করোণা আবহে দুই হাজার কুড়ি সালে দুর্বিষহ ভাবে মানুষ জীবন যাপন করেছে । কখনো সরকার লকডাউন ঘোষণা করেছে। বহু মানুষকে কর্মচ্যুত হতে হয়েছে। বিভিন্ন রাজ্য থেকে তাদেরকে ফিরতে হয়েছে। কেউবা হেঁটে, সাইকেলে চড়ে, কেউ বা ট্রেনে ঝুলে ।বহু মানুষ প্রাণ দিতে হয়েছেন ।আত্মীয়-পরিজন স্বজন হারিয়েছেন কোভিড ১৯ জন্য। ধীরে ধীরে মানুষ কোভিড কে কাটিয়ে সরকারের সিদ্ধান্তকে মেনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে স্বাভাবিক জীবন যাপন করেছেন।
কিন্তু দ্বিতীয় ঢেউ আবার ভয়ংকরভাবে মাথাচাড়া দিয়েছে। যদিও একুশের নির্বাচন এখনো চলছে রাজ্যে। কোথাও কোনো বিধিনিষেধ নেই মানুষ ভুলে গিয়েছিল দুই হাজার কুড়ি জীবনযাপনের ধারা। করোণা ভ্যাকসিন চালু হলেও এই মুহূর্তে বিভিন্ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভ্যাকসিন নেওয়ার তাড়া পড়েছে। কিন্তু সরবরাহ অনেকটাই কম বলে জানালেন সুতাহাটা পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি তাপস কুমার মাইতি তিনি বললেন রাজ্য সরকার পয়সা দিয়ে কিনে জনসাধারণকে দিতেন রাজ্যের নিজ দায়িত্বে। মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য। কিন্তু কেন্দ্র সরকারের কাছে আপিল করেছিলেন সেই ভ্যাকসিন রাজ্য সরকারকে না দিয়ে সরাসরি কেন্দ্র সরকার বিনা পয়সায় বয়সের সামঞ্জস্য রেখে এই মুহূর্তে সমস্ত জায়গায় ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। কোভিড ১৯ দ্বিতীয় ঢেউ যখন আসছে মানুষ আতঙ্কিত হয়ে ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য প্রত্যেকটি সেন্টারে সেন্টারের যাচ্ছেন। এই মুহূর্তে রাজ্যে একুশে নির্বাচন চলছে তার মধ্যেই কোভিড ভ্যাকসিন ও চলছে আপাতত এই মুহূর্তে কোভিড ভ্যাকসিন সরবরাহ না থাকার জন্য যারা প্রথম ডোজ নিয়েছিলেন সুতাহাটা প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে। তারা আগামী সপ্তাহে দ্বিতীয় ডোজ নেওয়র জন্য আসবেন। তিনি আরো বললেন যারা প্রথম ডোজ নেবেন পরবর্তীকালে সুতাহাটা পঞ্চায়েত সমিতি এলাকায় আশা কর্মীদের মারফত জানতে পারবেন। প্রথম ডোজ নেওয়া কবে থেকে শুরু হবে। কোভিড ১৯ দ্বিতীয় ঢেউ চলছে অন্যান্য রাজ্যে লকডাউন ঘোষণা হয়েছে। কিন্তু তারই মধ্যে মুসলিম ভাইদের রমজান মাস শুরু হয়েছে। বাংলা নববর্ষ হালখাতা শুরু হয়েছে । নববর্ষে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মাক্স ব্যবহার করেননি করোণা দ্বিতীয় ঢেউ যখন আসছে বিভিন্ন রাজ্যে লকডাউন ঘোষণা হচ্ছে বর্তমানে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় দুই থেকে তিনজন মারা গেছেন এবং জেলায় করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন শুনে পরপর সেই সকল মানুষের হুশ ফিরে মাক্স ব্যবহার করেই সেন্টারে যাচ্ছেন। কভিড ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য। যদিও একুশে নির্বাচনে সভা-সমিতি হয়েছে কোন কোভিড না মেনেই পুরোটাই যেন আলগা হয়ে গিয়েছিল। শুধু ভ্যাকসিন নয় সকলকে সচেতন হতে হবে ।মাক্স এবং স্যানিটারিজার ব্যবহার করা সমদূরত্ব রেখে কথা বলা এবং আচার আচরণের মধ্য দিয়ে চলাফেরা করা তবেই আমরা কভিড ১৯ দ্বিতীয় ঢেউ আমরা জয় করব ।যেমনি আমরা প্রথম ঢেউ কে জয় করেছিলাম। দ্বিতীয় ঢেউ কে জয় করে আমরা সকলেই স্বাভাবিক জীবন-যাপনে ফিরে আসব।করোনা আক্রান্ত দের সুবিধার্থে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর দুটি কন্ট্রোল রুম চালু করল।২৪ঘন্টা ওই। কন্ট্রোল রুমে ফোন করে পরিষেবা পাওয়া যাবে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানানো হয়েছে। গুরুতর অসুস্থদের হাসপাতালে ভর্তি, অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা ও চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়ে সহায়তা জন্য ৭৩৬৪০৪৫১৪০ নম্বরে ফোন করা যাবে। সকাল ৮টা থেকে রাত ৮ পর্যন্ত ৯৫৬৪৫৮৭৫৯৩ নম্বরে ফোন করে কোভিড আক্রান্ত দের মানসিক চিকিৎসা সংক্রান্ত পরামর্শ পাওয়া যাবে। এই নম্বরটি টেলিমেডিসিন পরিষেবার অন্তর্ভুক্ত। চিকিৎসকরাই পরামর্শ দিবেন। পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় এই মুহূর্তে করোনা সংক্রমণ ব্যাপক হারে বেড়েছে। পরিষেবা পেতে যাতে অসুবিধা না হয় সেইজন্য জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর দুটি সহায়তা নম্বর চালু করেছে।
No comments