Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

ভারতবর্ষের বারোটি মেজর কে এগিয়ে পণ্য পরিবহনে হলদিয়া বন্দর

অতি মহামারী আম্ফানের ধাক্কা সামলে দেশের অন্যান্য বন্দর গুলির চেয়ে পণ্য পরিবহনে এগিয়ে হলদিয়া বন্দর। সদ্য শেষ হওয়া আর্থিক বছরে ৪৫.৪৭ মিলিয়ন টন পণ্য ওঠানামা করেছে হলদিয়া। লকডাউন ও আম্ফানের প্রভাবে দেশের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ প…

 




অতি মহামারী আম্ফানের ধাক্কা সামলে দেশের অন্যান্য বন্দর গুলির চেয়ে পণ্য পরিবহনে এগিয়ে হলদিয়া বন্দর। সদ্য শেষ হওয়া আর্থিক বছরে ৪৫.৪৭ মিলিয়ন টন পণ্য ওঠানামা করেছে হলদিয়া। লকডাউন ও আম্ফানের প্রভাবে দেশের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পোট গুলি ধুঁকছে  তখন ও হলদিয়া পণ্য পরিবহন বৃদ্ধির হারে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে ।এক সময় লকডাউন এর জেরে হলদিয়া পণ্য পরিবহনের হার -22 শতাংশে নেমে আসে। পশ্চিমবঙ্গ সহ পূর্ব ভারত ও নেপালের শিল্প-বাণিজ্যের চাহিদা সেই পরিস্থিতি অতিক্রম করতে পেরেছে হলদিয়া। একইসঙ্গে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার রপ্তানির ঘুরে দাঁড়াতে সাহায্য করেছে বন্দরকে ।বৃদ্ধির হারে দেশের ১২ টি মেজর পোট মধ্যে তৃতীয় স্থান উঠে এসেছে হলদিয়া। বন্দর সূত্রে খবর ২০২০-২ অর্থবর্ষে হলদিয়া ৪৫.৪৭ মিলিয়ন কার্গো হ্যান্ডলিং করেছে। বন্দরের ৫০ বছরের ইতিহাসে এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২০১৯ থেকে২০২০ অর্থবর্ষে হলদিয়া সর্বোচ্চ ৪৬-৬৮ মিলিয়ন মেট্রিক টন পণ্য ওঠানামা করেছিল। তাদের দাবি লকডাউন করোনা মহামারী থাকা সত্ত্বেও বন্দর কর্তৃপক্ষ ধারাবাহিকভাবে পণ্য পরিবহন বৃদ্ধি সাফল্য এসেছে।


হলদিয়া ডক কমপ্লেক্স ট্রাফিক ডিভিশনের পরিসংখ্যান থেকে জানা গিয়েছে হলদিয়া পরিবহন বৃদ্ধি ২০ শতাংশ হলেও এখনও বৃদ্ধির হার ২.৬০% - রয়েছে। গত বছর লকডাউন এর সময় এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত পরিবহন বৃদ্ধিহার 22% নিচে নেমে গিয়েছিল। গত সেপ্টেম্বর থেকে ইস্পাত শিল্প সহ অন্যান্য শিল্প উৎপাদন এর পরিস্থিতি দেশের বৃদ্ধির হারে আগে রয়েছে গোয়ার মার্মাগাঁও উড়িষ্যা পারাদ্বীপ বন্দর। হলদিয়া বন্দরের জেনারেল ম্যানেজার  ট্রাফিক অভয় মহাপাত্র বললেন হলদিয়ার বড় সুবিধা হলো এখানে প্রায় ১০০ ধরনের পণ্য জাহাজ ওঠানামা করে। বিভিন্ন ধরনের পণ্য এবং মারফত চলাচল করার ফলে করোণা বা লকডাউনের মতো কঠিন সময়েও বন্দর সচল ছিল। আমদানি ও রপ্তানির জন্য দু ধরনের পণ্য পর্যাপ্ত পরিমাণে পেয়েছে বন্দর। লকডাউন এর জন্য তামিলনাড়ুতে কয়েক মিলিয়ন টন থামাল কোল পরিবহন বন্ধ হলেও প্রভাব পড়েনি। বিকল্প হিসেবে রান্নার গ্যাস বা এলপিজি সরবরাহ পশ্চিমবঙ্গ সহ পূর্ব ভারতের বৃদ্ধি পাওয়ায় বন্দরের সুবিধা হয়েছে। এলপিজি আমদানি পাশাপাশি করোনা পর্বে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার রপ্তানি কিংবা লৌহ আকরিক রপ্তানি সংকটের সময় হলদিয়া বন্দর বরাত  খুলে দিয়েছে। বন্দর সূত্রে জানা গেছে লকডাউনে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে লকডাউনে বন্ধ থাকলেও সেখানকার বাজারের বিভিন্ন পণ্যের ব্যাপক চাহিদা ছিল। হলদিয়া বন্দর গেটওয়ে হওয়ার পণ্য রপ্তানি সুবিধা পেয়েছে। বন্দরের এক কর্তা জানান ২০২০-২১  অর্থবর্ষে হলদিয়ার ৪.৪৫ মেট্রিকটন এলপিজি হ্যান্ডেলিং হয়েছে।

গত বছরের তুলনায় এবার প্রায় ৫ লক্ষ মিলিয়ন মেট্রিক টন এলপিজি বেশি হ্যান্ডেলিং হয়েছে।১.৫৮ মিলিয়ন মেট্রিক টন নেপাল কার্গো হ্যান্ডলিং করে সর্বকালের রেকর্ড করেছে বন্দর। হলদিয়া বন্দর মারফত নেপাল যে পণ্য আমদানি রপ্তানি করে তা নেপাল কার্গো হিসেবেই পরিচিত। গত বছর নভেম্বর মাসের রেকর্ড পণ্য পরিবহন হয়। বন্দরে যা আগে কখনো হয়নি। ইডেন চ্যানেলের নাব্যতা খানিকটা বেড়ে যাওয়ার কারণে করোনা পর্বে জাহাজগুলোতে বেশি পণ্য পরিবহন বৃদ্ধির হারে সুবিধা করেছে। কলকাতা হলদিয়া পোর্ট ভারতীয় মজদুর সংঘের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ বিজলী বলেন করোনা ও লকডাউনের সময় বন্দরে স্থায়ী-অস্থায়ী শ্রমিকরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেছে তাদের পরিশ্রমের বন্দর এই সাফল্য পেয়েছে।ভারত সরকারের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদী বাণিজ্যিক সম্মেলনে হলদিয়া বন্দর কে সামনে রেখে সাগর মালা প্রজেক্ট কে কার্যকরী করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। সেজন্যই হলদিয়া বন্দরের গুরুত্ব আরো বেড়েছে।





No comments