রাজ্যের দ্বিতীয় দফার ভোটের প্রচারের শেষদিন আজ। শেষবেলায় ভোটারদের মন পেতে আসরে শাসক-বিরোধী সব শিবিরই। এই দফায় বিশেষ নজর রয়েছে রাজ্যের সবচেয়ে হেভিওয়েট কেন্দ্র নন্দীগ্রাম। সেখানে আজ একযোগে প্রচারে ঝড় তুলছে সব দলই।নন্দীগ্রামে আজ ঠাসা…
রাজ্যের দ্বিতীয় দফার ভোটের প্রচারের শেষদিন আজ। শেষবেলায় ভোটারদের মন পেতে আসরে শাসক-বিরোধী সব শিবিরই। এই দফায় বিশেষ নজর রয়েছে রাজ্যের সবচেয়ে হেভিওয়েট কেন্দ্র নন্দীগ্রাম। সেখানে আজ একযোগে প্রচারে ঝড় তুলছে সব দলই।
নন্দীগ্রামে আজ ঠাসা কর্মসূচি ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের । পদযাত্রা এবং জনসভা ছিল একাধিক। দিনের শেষে টেঙ্গুয়া মোড়ে তাঁর সভায় ছিল জনপ্লাবন। আর এই সভামঞ্চে মমতা ছিলেন নেত্রী নয়, বরং ঘরের মেয়ের অবতারে। তাঁর বক্তব্যে ফিরে আসে জমি আন্দোলনের নানা স্মৃতি। চলে স্লোগানও। মমতার বক্তব্যের আগে গান গেয়ে আন্দোলনের স্মৃতি ফিরিয়ে আনেন দোলা সেন।
নন্দীগ্রামে প্রচারের শেষলগ্নে জাতীয় সংগীত গাইতে হুইল চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়ালেন মমতা। টেঙ্গুয়ার সভা শেষে জাতীয় সংগীত গাওয়ার সময় মঞ্চে উপস্থিত নিরাপত্তারক্ষী এবং দলীয় নেতাদের সাহায্যে উঠে দাঁড়ান মুখ্যমন্ত্রী। তারপর কার্যত একপায়েই জাতীয় সংগীত গান তিনি। তিনি ওঠার চেষ্টা করতেই তড়িঘড়ি হয়ে এগিয়ে আসেন মঞ্চে উপস্থিত সুব্রত বক্সী, জয়া দত্ত, দোলা সেনরা। সকলেই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের আশ্বস্ত করে বলেন, ‘‘একটু চেষ্টা করি না!’’ তার পরেই তিনি কার্যত এক পায়ে দাঁড়িয়ে জাতীয় সঙ্গীতে গলা মেলান।
গত ১০ মার্চ নন্দীগ্রামেরই বিরুলিয়া বাজারের কাছে আহত হন মমতা। সঙ্গে সঙ্গে গ্রিন করিডর করে কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। কয়েক দিন হাসপাতালে থাকার পর, তিনি হুইলচেয়ারে বাড়ি ফেরেন। এর পর ওই হুইলচেয়ারে বসেই তিনি জেলাসফরে বেরিয়ে পড়েন। সেই নিয়ে গেরুয়া শিবির থেকে নানা কটাক্ষ উড়ে এলেও, হুইলচেয়ারে বসেই পদযাত্রাতেও শামিল হন হুইলচেয়ারে বসেই। সেই নিয়ে গেরুয়া শিবির থেকে নানা কটাক্ষ উড়ে এলেও, হুইলচেয়ারে বসে পদযাত্রাও সারেন মমতা।
No comments