আমাকে চমকালে আমি চমকাই। আমাকে ধমকালে আমি গর্জাই। আমাকে গর্জাইলে আমি বর্ষাই। আমাকে বর্ষালে আমি উতরাই। আর নিহত বাঘের থেকে আহত বাঘ আরো ভয়ঙ্কর। আমি রয়েল বেঙ্গল টাইগার।” আমদাবাদের একটি জনসভা থেকে এই মন্তব্য করেন নন্দীগ্রামের তৃণমূল …
আমাকে চমকালে আমি চমকাই। আমাকে ধমকালে আমি গর্জাই। আমাকে গর্জাইলে আমি বর্ষাই। আমাকে বর্ষালে আমি উতরাই। আর নিহত বাঘের থেকে আহত বাঘ আরো ভয়ঙ্কর। আমি রয়েল বেঙ্গল টাইগার।” আমদাবাদের একটি জনসভা থেকে এই মন্তব্য করেন নন্দীগ্রামের তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
হাতে মাত্র প্রচারের একটা দিন। তার আগে প্রচারের ঝড় তুললেন নন্দীগ্রামের তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন প্রথমে নন্দীগ্রামের ক্ষুদিরাম মোড় থেকে ঠাকুরচক পর্যন্ত র্যালি করেন মমতা। এরপর তিনি নন্দীগ্রামের ঠাকুরচকে এবং পরে বয়াল- ২তে ও শেষে আমদাবাদে একটি জনসভা করেন নন্দীগ্রামের তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন মমতা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সংগীত শিল্পী অদিতি মুন্সি ও শ্রীরাধা বন্দোপাধ্যায়।
মমতা ফের নন্দীগ্রামের জনসভা থেকে ভূমি আন্দোলনের পেছনে যে অধিকারীদের কোন ভূমিকা নেই দাবি করেন মমতা। বলেন, “নন্দীগ্রামটা আমি লড়াই করতে দিয়েছিলাম। কারণ নন্দীগ্রামটা আমার প্রিয় ছিল। নন্দীগ্রাম নিয়ে আমি আন্দোলন করেছি। নন্দীগ্রাম নিয়ে যখন প্রথম আন্দোলন হয় কে ছিল আপনাদের সাথে? বাপ- ব্যাটাকে তখন ১০- ১৫দিন দেখা যায়নি। পরে জুটেছে যখন সব স্বাভাবিক হয়ে গেছে।”শুভেন্দু অধিকারী বেশ কয়েকটি জনসভা থেকে নন্দীগ্রামে গুলি চালানোর পেছনে থাকা মূল নায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাসকে তৃণমূলে নেওয়া নিয়ে কটাক্ষ করেছেন। আর সেই কটাক্ষের পাল্টা এদিন ফিরিয়ে দেন মমতা। মমতা বলেন, “বলুন তো কে নব সামন্ত? সিপিএমের হার্মাদ, যে আপনাদের এখানে গন্ডগোল করেছিল। তাকে বিজেপিতে জয়েন্ট করিয়েছে। অর্থাৎ যারা ভূমি আন্দোলনে আপনাদের ওপর অত্যাচার করল এবং ২৪- ২৫জন মানুষ খুন করল আজকে তারা বিজেপির নেতা। অত্যাচার করবার পরে আজকে বলছে আমায় ভোট দিন। উত্তর প্রদেশ ও বিহার থেকে গুন্ডা নিয়ে এসেছে।” নন্দীগ্রাম আন্দোলন প্রসঙ্গে মমতা আরো বলেন, “সবাই যদি ভূমি আন্দোলন করে অন্যায় করে সবার বিরুদ্ধে সিপিএম কেস দিয়েছিল কিন্তু এই গদ্দারবাবুর বিরুদ্ধে কোনো কেস দেয়নি। কেন যায়নি তার কারণ হচ্ছে ও ছিলোই না। ও সিপিএম, পুলিশকে ডেকে নিয়ে এসেছিল। সেদিন পুলিশের ছেলেমেয়েরা নয়, সিপিএমের ক্যাডাররা পুলিশের ড্রেস পরে গুলি চালিয়েছিল। আজকেও তাই করছে এবং করবে। আমার কাছে খবর আছে বাজার থেকে পুলিশের ড্রেস কিনেছে। পুলিশের ড্রেস পরিয়ে বিজেপির ক্যাডারদের কয়েকটা জায়গায় গেস্ট হাউসে রেখে দিয়েছে। তাদের দিয়ে গ্রামে গ্রামে ভয় দেখাবে। আর বলবে বিজেপিকে ভোট দাও। মনে রাখবেন ওগুলো পুলিশ নয়, ফুলিশ।”
No comments