Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

মহাত্মা গান্ধী হলদিয়া আগমনে গান্ধীজীর স্মৃতিবিজড়িত মায়ের চরকা আগলে রেখেছে পুত্র প্রদীপ

২৫ ডিসেম্বর মহাত্মা গান্ধী মহিষাদল সুতাহাটা আগমনে ৭৫ বছরপূর্তি হচ্ছে! ৭৫ বছর ধরে গান্ধীজীর স্মৃতিবিজড়িত চরকা বুকে ধরে রেখেছেন সুতাহাটা চৈতন্যপুর এর স্বাধীনতা সংগ্রামীর পরিবার। হলদিয়া বাসুদেবপুর গ্রামে তৎকালীন সুতাহাটা গান্ধীজীর…

 





২৫ ডিসেম্বর মহাত্মা গান্ধী মহিষাদল সুতাহাটা আগমনে ৭৫ বছরপূর্তি হচ্ছে! ৭৫ বছর ধরে গান্ধীজীর স্মৃতিবিজড়িত চরকা বুকে ধরে রেখেছেন সুতাহাটা চৈতন্যপুর এর স্বাধীনতা সংগ্রামীর পরিবার। হলদিয়া বাসুদেবপুর গ্রামে তৎকালীন সুতাহাটা গান্ধীজীর সামনে বসে ওই চরকায় সুতো কেটে খাদির পোশাক তৈরি করেছিলেন সরলা বালা মাইতি।সরলা দেবী ছিলেন সুতাহাটা তাম্রফলক প্রাপ্ত স্বাধীনতা সংগ্রামী বিজয় মাইতি স্ত্রী। স্বামীর সঙ্গে স্বদেশী আন্দোলনে যুক্ত ছিলেন। সুতাহাটা মহিষাদল গান্ধীজীর স্মৃতিবিজড়িত সামগ্রী স্বাধীনতা সংগ্রামের স্মৃতিচিহ্ন নষ্ট হচ্ছে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনের কাছে সরকারি উদ্যোগে এ গুলি স্মারক হিসেবে সংরক্ষণের দাবি জানালেন স্বাধীনতা সংগ্রামের পরিবার। গান্ধীজীর আগমনে৭৫ বছরপূর্তি মিউজিয়াম গড়ে তোলার দাবি তুলেছেন সুতাহাটা মহিলাদলের মানুষ।১৯৪৫ সালের ২৫ ডিসেম্বর পাঁচ দিনের জন্য মহিষাদলের একতারপুরে আসেন গান্ধীজী। সেই সময় তিনি লবণ সত্যাগ্রহ আন্দোলনে যোগ দিতে সুতাহাটা ও কাঁথি গিয়েছিলেন। গান্ধীজীর আগমন উপলক্ষে প্রতিদিন মহিষাদল সুতাহাটা কাছে চার জায়গায় সুতো কাটার কর্মসূচি সুতো যজ্ঞ পালিত হয়। সুতো যজ্ঞে অংশ নিয়েছিলেন স্থানীয় মহিলা ও পুরুষ। সেইসময় গান্ধী আশ্রম এ গান্ধীজীর সামনেবসে নিজের বাক্স চরকায় সুতো কেটে ছিলেন সরলা দেবী। তাঁর পুত্র প্রদীপ মাইতি মায়ের এই চরকা সযত্নে রেখেছেন বাড়িতে। চৈতন্যপুর কুকড়াহাটি রোডের পাশেই প্রদীপ বাবুর বাড়িতেই বসে তুলেছিলেন বাংলার নানান শিল্পসামগ্রী ডাকটিকিট ও ইতিহাসের সংগ্রহশালা পুরনো ইতিহাসের নথি সংগ্রহ করা আটে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। প্রদীপ বাবুর নেশা স্বাধীনতা সংগ্রামী বাবা-মায়ের কাছ থেকে স্বদেশী আন্দোলনের ইতিহাস বহু রয়েছে তার সংগ্রহে। তিনি বলেন গান্ধীজির চরকা কাটার পর গল্প বলেছিলেন আমার মা তখন তার বয়স মাত্র২৩ বছর। বাবা বিজয় কৃষ্ণ মাইতি সুতাহাটা গান্ধীবাদী নেতা প্রফুল্ল চন্দ্র জানার সহযোগী ছিলেন। কুমার বাবু ডাকে গান্ধীজী চৈতন্যপুর তৎকালীন রাস্তা দিয়ে বাসুদেবপুর পৌঁছেছিলেন। সময় পেলে গান্ধীজিকে সামনে থেকে দেখার রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতার কথা বলেন ছোটবেলার চারচাকা দিয়ে গাড়ি বানানোর চেষ্টা করতাম। মা তাই চরকাটি লুকিয়ে রাখতেন। তিনি বলতেন গান্ধীজীর স্মৃতিবিজড়িত চরকা টা গুছিয়ে রাখিস। ঐ চরকায় সুতো কেটে দিদি দের জামা বানাতেন মা। প্রদীপ বাবুর সঙ্গে রয়েছে গান্ধীজির জন্মের সার্ধশতবর্ষ উপলক্ষে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তের প্রকাশিত প্রায়২৫০ স্মারক ডাকটিকিট। গান্ধীজী ভারতের সমস্ত প্রান্তে গিয়েছিলেন। সেখানকার স্থানীয় প্রশাসন ডাক বিভাগ যৌথ উদ্যোগে এই কাজ করেছেন। প্রদীপবাবু আক্ষেপ মহিষাদল বা সুতাহাটা এলেও পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।


No comments