একটি অভিভাবকহীন লক্ষী পেঁচা। সকাল বেলায় পড়ে গেল আজাদ হিন্দ ফোর্ট নামক বহুতলের ওপর থেকে। বিজ্ঞানকর্মী সুচিস্মিতা মিশ্র বলেন !ফোন এল স্থানীয় সমাজসেবী গোপাল দা Gopalprasad Datta র কাছ থেকে।বললেন " পেঁচা টা মরে যাবে, কি করবো?…
একটি অভিভাবকহীন লক্ষী পেঁচা। সকাল বেলায় পড়ে গেল আজাদ হিন্দ ফোর্ট নামক বহুতলের ওপর থেকে। বিজ্ঞানকর্মী সুচিস্মিতা মিশ্র বলেন !ফোন এল স্থানীয় সমাজসেবী গোপাল দা Gopalprasad Datta র কাছ থেকে।বললেন " পেঁচা টা মরে যাবে, কি করবো?" ফোন নম্বর দিলাম বন দপ্তরের আধিকারিক শুকলাল বাবুর। আজ সকাল দশটার পরে আবার দাদার ফোন ।শুকলাল বাবু বলেছিলেন সকাল দশটার মধ্যে পেঁচা টিকে নিয়ে যাবেন ,কিন্তু এখনও তো নিয়ে গেলেন না ফোন ও ধরছেন না।উদ্বেগ ঝরে পড়লো গলায়।বন দপ্তরের উদাসীনতার অনেক উদাহরণ আমাদের মত বিজ্ঞান কর্মীদের কাছে আছে।আমরা ভুক্তভুগী,বার বার প্রত্যাখ্যাত হই, তাও আবার যাই ওনাদের কাছে। কারন আমাদের কাজ করতেই হয় মানুষের স্বার্থে। অগত্যা ফোন করলাম শুক লাল বাবুকে। আমার ফোন টি ধরে বললেন পেঁচাটি ছেড়ে দিন না।আমি আঁতকে উঠে বললাম এখন ছাড়লে ওকে তো কাক ও অন্য পাখি রা মেরে ফেলবে তাছাড়া ও অসুস্থ ।তাহলে আর কি করবেন,এখানে পৌঁছে দিয়ে যান।এত কথা লেখার ইচ্ছে আমার ছিল না।লিখলাম এই জন্য সাধারন মানুষ বন দপ্তর কে সহায়তা করতে চাইলে ওনারা সহযোগিতা করতে চাননা কেন?পশু পাখিকে রক্ষা করার দায় যে কয়েকজন মানুষের মনে এখনো আছে বন দপ্তরের উদাসীনতায় তারাও বিমুখ হবেন।ওনারা কেন নিজেদের দায়িত্ব পালন করবেন না? আরো জেনে রাখুন,যিনি পাখিটিকে নিয়ে যাবেন বলেছিলেন তিনি কয়েকদিন ছুটিতে আছেন।তাহলে কেন বললেন ?কেন বিভ্রান্ত করলেন সকলকে?উত্তর কোথায়?শেষ অবধি এই লক্ষী পেঁচা টিকে আমরাই পৌঁছে দিলাম বালুঘাটা র অফিসে।
No comments