মেদিনীপুরে প্রাক্তন বিধায়ক ও মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগদান করার পর সারা হলদিয়া জুড়ে শুভেন্দু অধিকারীর কাটাউট ব্যানারে জুতোর মালা পরিয়ে ছিল। গতকাল সন্ধ্যায় তাল-পুকুরে সতীশ সামন্ত দলীয় অফিসে শুভেন্দু অ…
মেদিনীপুরে প্রাক্তন বিধায়ক ও মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগদান করার পর সারা হলদিয়া জুড়ে শুভেন্দু অধিকারীর কাটাউট ব্যানারে জুতোর মালা পরিয়ে ছিল। গতকাল সন্ধ্যায় তাল-পুকুরে সতীশ সামন্ত দলীয় অফিসে শুভেন্দু অধিকারীর ছবি কাটাউট সরিয়ে দেয় তৃণমূল কর্মীরা। আজকে তার ভাই দিব্যেন্দু অধিকারী তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ হলদিয়া ঢুকতেই তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন। ঢুকতেই মীরজাফর বলে সম্বোধন করলেন ঠিক তেমনি ভাবে স্লোগানে দিতে থাকেন দুর্গাচক ক্ষুদিরাম স্কয়ারের কাছেই সতীশ সামন্ত ভবনে দলীয় কার্যালয় সামনে।তিনি জানালেন এটাই সাংসদ অফিস। এবং সকলে বেরিয়ে যেতে তিনি চাবি লাগাবেন ।তৃণমূল কর্মীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন ।হলদিয়া তৃণমূল যুব সহ সভাপতি অমিত প্রামানিক বলেন নিজস্ব সাংসদ অফিস দুর্গাচক সুপার মার্কেটের পিছনে ।এই অফিস আমরা সকলেই জানি। কিন্তু এটা আমাদের দলীয় অফিস হিসেবে পরিচিত। আজকের অফিস দখল নিতে চাইছেন ।নির্দিষ্ট সাংসদ অফিস থাকার পরেও এই দলীয় অফিস কেই সাংসদ অফিস করতে চাইছে। এটা মেনে নেওয়া যাবে না। যদিও তিনি বলেন উনি আসতেই হলদিয়া পৌরসভার চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল ফুলের মালা দিয়ে সম্বোধন করেছেন। কারণ আমাদের দলের সাংসদ হিসেবে তাকে সম্মান জানানো হয়। কিন্তু দলীয় কার্যালয় অফিসকে সাংসদ অফিস কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যাবে না। একই জায়গায় এক কিলোমিটারের মাঝখানে দুটো সাংসদ অফিস হবে এটা কেমন কথা। যদিও উনি সেই অফিসে মাসে একবার আসেন কিনা সেটাও সন্দেহ।
অমিত প্রামাণিক আরও বলেন দিব্যেন্দু কয়েকজন বিজেপি কর্মী কে সাথে নিয়ে এসেছিলেন । সে জন্য তৃণমূল কর্মীরা মীরজাফর ফলে স্লোগান দিয়েছিলেন। তবে হলদিয়া পৌরসভার চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিলর স্বপন নস্কার বলেন এই অফিস আমার হেফাজতে রয়েছে। এবং সাংসদ ও বলে গেছেন। আমি বলেছি যখন উনি আসবেন আমাকে বললে আমি এসে উনার সমস্ত রকম ব্যবস্থা করব। দিব্যেন্দু অধিকারি যাবার সময় দলীয় কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন ।স্থানীয় পুলিশকে বলে গেলেন আমি লিখিত পাঠিয়ে দেবো যাতে দুষ্কৃতীদের ধরা হয় এবং তদন্ত করা হয়।
No comments