ব্রেকিং নিউজ ঃ নন্দীগ্রামে দাদার অনুগামীদের সভার পাল্টা সভা তৃণমূল কংগ্রেসের

রক্তাক্ত সূর্য উদয়ের বর্ষপূর্তি সভা দাদার অনুগামীদের সেই নন্দীগ্রামে পাল্টা সভা তৃণমূল কংগ্রেসের। পরিবর্তনে আরেক নাম নন্দীগ্রাম সেই সেই নন্দীগ্রাম থেকে সারা রাজ্যের মা মাটি মানুষের সরকার! তৃণমূল কংগ্রেসের আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছিল…

 

রক্তাক্ত সূর্য উদয়ের বর্ষপূর্তি সভা দাদার অনুগামীদের সেই নন্দীগ্রামে পাল্টা সভা তৃণমূল কংগ্রেসের। পরিবর্তনে আরেক নাম নন্দীগ্রাম সেই সেই নন্দীগ্রাম থেকে সারা রাজ্যের মা মাটি মানুষের সরকার! তৃণমূল কংগ্রেসের আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছিল সেই নন্দীগ্রামে ভূমি উচ্ছেদ কমিটির সভা ১০ নভেম্বর সকাল ১০ টায় দাদার অনুগামীদের আর তারই কয়েক ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই ১০ ই নভেম্বর তৃণমূল কংগ্রেস উদ্যেগে বিকাল ৩ টায় দুই সভাকে ঘিরে রাজ্য রাজনীতিতে এখন তোলপাড়। হাজরাকাটায় তৃণমূল কংগ্রেসের শহীদ সভার প্রস্তুতি জোর কদমে চলছে।

প্রসঙ্গত,রাজ্যের জমি রক্ষা আন্দোলনের অন্যতম ক্ষেত্র নন্দীগ্রাম আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্য রাজনীতিতে ফের সামনের সারিতে উঠে আসছে ।বুধবার নন্দীগ্রামে রাজ্যের শাসক দলের দুই গোষ্ঠীর সভা ও পাল্টা সভাকে ঘিরে সারা পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সাথে সারা রাজ্য জুড়ে রাজনৈতিক মহলে উত্তেজনা বাড়ছে।

নন্দীগ্রাম দিবস উপলক্ষে তেখালিতে ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির ব্যানারে শুভেন্দু অধিকারীর মহাসমাবেশের পাশাপাশি তৃনমুলের ব্যানারে হাজরাকাটায় সভার আয়োজন করা হয়েছে।পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃনমুলের কো অর্ডিনেটার তথা রামনগরের বিধায়ক অখিল গিরি জানিয়েছেন সেই সভায় দলের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা নেতৃত্বের পাশাপাশি রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম,পূর্ণেন্দু বসু,রাজ্যসভার সাংসদ দোলা সেন সহ বহু নেতৃত্ব উপস্থিত থাকবেন।

রাজ্যের পরিবহন,সেচ ও জলসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীকে সম্প্রতি সরকারি অনুষ্ঠানে কিংবা দলীয় সভায় গত কয়েক মাসে সেই ভাবে দেখা পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে নিত্যদিন জল্পনা বেড়েই চলেছে।তিনি বিজেপির সম্ভাব্য মুখ্যমন্ত্রী কিনা সেই প্রশ্নও শুনতে হয়েছে দেশের সরাষ্ট্র মন্ত্রী তথা বিজেপির প্রাক্তন সর্ব ভারতীয় সভাপতি অমিত শাহকে!

জল্পনার অবসান ঘটাতে খোদ শুভেন্দু অধিকারী নন্দীগ্রামে এক সভা থেকে বলেছিলেন বাজারি মিডিয়া অনেক কথা বলে বেড়াচ্ছে।যতক্ষন তিনি কিছু না বলেন,দলীয় কর্মীরা,তাঁকে ভালোবাসার মানুষেরা যেন কোন কথা বিশ্বাস না করেন।

তার পর সরকারী প্রোগ্রামে তাঁকে পাওয়া গেছে সুতাহাটায়। পরে পটাশপুরে সরকারি অনুষ্ঠানে এসে নেত্রীর কথা বলতে শোনা গেছে তাঁর মুখে।

শুভেন্দু বাবুর বাবা তৃনমূলের বর্ষিয়ান নেতা কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারীও স্পষ্ট করে ছিলেন রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রীর বিজেপি যোগের প্রচার ভুয়ো।

সেই দাবি যে অনেকাংশে সত্য তা বোধহয় প্রমান করতে নন্দীগ্রাম জুড়ে গতকাল মমতা ব্যানার্জীর ছবি সহ শুভেন্দু অধিকারীর ব্যানার পড়ে ছিলো।

উল্লেখ্য সম্প্রতি কাঁথি সহ রাজ্য জুড়ে দল ও প্রতীকহীন শুভেন্দু অধিকারীর ব্যানারকে ঘিরেই নানা জল্পনা তৈরী হয়েছিলো।

নন্দীগ্রামে আগামী ১০ তারিখে রক্তাক্ত সূর্যোদয়ের বর্ষপুর্তি অনুষ্ঠানে শুভেন্দু অধিকারীর সভার সমর্থনে লাগানো ব্যানারে শুভেন্দুর সাথে ছিলো তৃনমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতার ছবি।গত ৩১ অক্টোবর নন্দীগ্রামে এক অরাজনৈতিক বিজয়া সম্মেলনী থেকে আগামী ১০ নভেম্বর গোকুলনগর এ রক্তাক্ত সূর্যোদয় এর বর্ষপূর্তি উপলক্ষে মহা সমাবেশ এর ডাক দেন শুভেন্দু।

এই সমাবেশকে ঘিরে শাসক দলের মধ্যে চাপানউতোর এবার চরম আকার ধারন করলো।যদিও এই নিয়ে কোন পক্ষই মুখ খুলতে নারাজ।তবে রবিবার তমলুকে এক দলীয় সভা থেকে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃনমুলের কো অর্ডিনেটার তথা রামনগরের বিধায়ক অখিল গিরির তৃনমুল কর্মীদের শুভেন্দুর সভায় না যাওয়ার আহ্বান মতানৈক্য প্রকাশ করে দেয় ।অখিল বাবু স্পষ্ট জানিয়েছিলেন নেত্রীর ছবি,দলীয় প্রতীক ও পতাকা না থাকা কোন সভায় তৃনমূল কর্মীদের না যেতে।শাসক দলের মধ্যে বিবাদ আরো স্পষ্ট হল রবিবার রাতের অন্ধকারে নন্দীগ্রামে মমতা-শুভেন্দুর ছবি সহ ব্যানার সরে যাওয়ায়।