করোনা আ’ক্রান্ত হয়ে এক সপ্তাহে মধ্যে রাজ্যের দুই বিডিও-র মৃত্যু। যার জেরে, রাজ্যের সব বিডিওর নামের তালিকা চেয়ে পাঠালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিডিও-দের নিয়ে, বড়সড় সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী এমনটাই জানা যাচ্ছে। করো…
করোনা আ’ক্রান্ত হয়ে এক সপ্তাহে মধ্যে রাজ্যের দুই বিডিও-র মৃত্যু। যার জেরে, রাজ্যের সব বিডিওর নামের তালিকা চেয়ে পাঠালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিডিও-দের নিয়ে, বড়সড় সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী এমনটাই জানা যাচ্ছে। করোনা আক্রান্ত হয়ে বৃহস্পতিবার মৃত্যু হল; হাওড়ার মন্দিরবাজারের বিডিও সইদ আহমেদের। বৃহস্পতিবার সকালে এম আর বাঙুর হাসপাতালে; মারা যান তিনি। সৈয়দ আহমেদ এর আগে; গত বৃহস্পতিবার কোভিড আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়; কোচবিহার জেলার শিতলকুচি ব্লকের বিডিও ওয়াংডি গয়ালপো ভুটিয়ার। তাঁর মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ কোচবিহার জেলা প্রশাসন। এক সপ্তাহে দুটি ঘটনার পরেই; রাজ্যের সমস্ত বিডিও-দের নামের তালিকা চেয়ে পাঠিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। জানা যাচ্ছে, বড়সড় সিদ্ধান্ত নিতে পারেন তিনি।
করোনা ও আমফান পরিস্থিতিতে; অসাধারণ কাজ করেছিলেন মন্দিরবাজারের বিডিও সইদ আহমেদ। তাঁর মৃত্যুতে; হাওড়া প্রশাসনিক মহলে শোকের ছায়া। এর আগে, আগস্টে করোনা আক্রান্ত হয়ে; মৃত্যু হয় নওদা ব্লকের বিডিও কৃষ্ণ চন্দ্র দাস-এর। তিনি নওদা ব্লকে গত দু’বছর ধরে; ব্লক আধিকারিকের দায়িত্ব পালন করছিলেন। বয়স হয়েছিল ৫২ বছর। তাঁর মৃত্যুতেও শোকের ছায়া; নেমে এসেছে প্রশাসনিক মহলে। তিন মাসের মধ্যে; রাজ্যের ৩ বিডিওর মৃত্যু হল। এই নিয়ে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে; রাজ্যের বিডিও মহলে।
বৃহস্পতিবারই নবান্নে রাজ্যের সব বিডিও-দের নামের লিস্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানা যাচ্ছে, বয়স্ক ও অন্যান্য রোগ আছে এমন বিডিও-দের; সরাসরি মানুষের সামনে গিয়ে কাজ করা থেকে সরিয়ে; অফিসিয়াল কাজ দেওয়া হবে। বয়স্ক বিডিও-দের জেলাশাসক দফতরের অন্যান্য কাজে; বা সরাসরি মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ হবে না; এমন কাজে তাঁদের ট্রান্সফার করা হতে পারে। এমনিতেই, রাজ্যের বিডিও মহলে; করোনা মৃত্যু নিয়ে ক্ষোভ ছড়িয়েছে। সামনেই পুরভোট ও বিধানসভা ভোট; ফলে এই মুহূর্তে সরকারি অফিসার মহলে; কোন ক্ষোভ দেখতে চান না মমতা। তাই বিডিও-দের নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন মমতা। নবান্ন সূত্রে, এমনটাই জানা যাচ্ছে।
No comments