সমুদ্র থেকে মাছ ধরে ফেরার পথে দুর্ঘটনার কবলে পড়া মা মহামায়া লঞ্চ ডুবে নিখোঁজ মৎস্যজীবির মৃতদেহ উদ্ধার হল বুধবার সকালে।গভীর সমুদ্র থেকে লঞ্চটি শংকরপুর মৎস্য বন্দরের দিকে আসছিল। এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার রাত্রে ।মৎস্য…
সমুদ্র থেকে মাছ ধরে ফেরার পথে দুর্ঘটনার কবলে পড়া মা মহামায়া লঞ্চ ডুবে নিখোঁজ মৎস্যজীবির মৃতদেহ উদ্ধার হল বুধবার সকালে।গভীর সমুদ্র থেকে লঞ্চটি শংকরপুর মৎস্য বন্দরের দিকে আসছিল। এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার রাত্রে ।
মৎস্যজীবীদের সূত্রে জানা গেছে গভীর সমুদ্র থেকে মাছ ধরে পথে বন্দরে ফেরার সময় দিঘা মোহনার কাছে গজিয়ে ওঠা চরে ধাক্কা মারে লঞ্চটি।আর এর জেরে ঘটনাস্থলেই পালটি মেরে সমুদ্রে তলিয়ে যায় এই মাছ ভর্তি লঞ্চ।দিঘার মৎস্যজীবীদের সূত্রে জানা গেছে দুর্ঘটনার কবলে পড়া লঞ্চে থাকা ৭ জন মৎসজীবি কোন রকমে সাঁতরে মোহনায় উঠে এলেও তাঁদের সাথে থাকা একজন মৎস্যজীবির সন্ধান পাওয়া যায়নি
নিখোঁজ মৎস্যজীবির নাম গৌরহরি ঋষি (৫৫)।তিনি খেজুরীর বজবজিয়ার বাসিন্দা। মৎস্যজীবিদের থেকে খবর পেয়ে দিঘা মোহনা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যায়।বোট নিয়ে নিখোঁজ মৎস্যজীবীর সন্ধানে পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছে সমুদ্রের বুকে ।তবে দুর্ঘটনার পরে রাতে কয়েক ঘন্টা ধরে বোট নিয়ে সমুদ্র বুকে তল্লাসাই চালালেও সেই নিখোঁজ মৎস্যজীবির কোন সন্ধান পায়নি পুলিশ।ঘটনাটি জানাজানি হতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দিঘা জুড়ে ।
জানা গেছে দুর্ঘটনার কবলে পড়া লঞ্চটির মালিক পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথি ৩ ব্লকের কালিনগর এর বাসিন্দা পৃথ্বীরাজ পয়ড়্যা।
সুত্রে খবর দুর্ঘটনার কবলে পড়া এই লঞ্চটিতে অন্যান্য সামুদ্রিক মাছের সাথে সমুদ্রের রূপালী ফসল ইলিশ মাছও ছিলো।ইলিশের চাহিদা সারা বছর ধরে থাকলেও পূজার সময় এমনিতেই ইলিশ মাছের চাহিদা বাড়ে ।জোগান পর্যাপ্ত পরিমানে থাকলে দাম সাধারনের সাধ্যের মধ্যে থাকে।মৎস্যজীবিদের জালে মাছ ধরা পড়ার পরেও সেই মাছ বাজারে না আসতে পারায় স্বাভাবিক ভাবেই পূজা মরসুমে বাঙ্গালীর অতি প্রিয় ইলিশ মাছের দাম আকাশ ছোঁয়া হবে ।
অপরদিকে বুধবার সকালে শংকরপুর সংলগ্ন চৌদ্দ মাইলের ৩০ ফুকারের কাছে চম্পা নদী ও সমুদ্রের সংযোগ স্থলে নিখোঁজ মৎস্যজীবির মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা।তাঁরা সাথে সাথে পুলিশকে খবর দেয় ।পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহ সনাক্ত করে কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্যে পাঠিয়েছে
No comments