কুবেরের রত্ন ভান্ডার! চিচিংফাঁক মতোই চক্ষু চড়কগাছ টলারে রাখায় ইলিশ ধরার জাল সরাতেই বেরিয়ে পড়ল রাশিরাশি বাংলাদেশি শাড়ী।জামদানি থেকে ঢাকাই বেনারসি তসর সিল্কের ভান্ডার। চার থেকে পাঁচ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকার রেঞ্জের থেকে ৪৫হা…
কুবেরের রত্ন ভান্ডার! চিচিংফাঁক মতোই চক্ষু চড়কগাছ টলারে রাখায় ইলিশ ধরার জাল সরাতেই বেরিয়ে পড়ল রাশিরাশি বাংলাদেশি শাড়ী।
জামদানি থেকে ঢাকাই বেনারসি তসর সিল্কের ভান্ডার। চার থেকে পাঁচ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকার রেঞ্জের থেকে ৪৫হাজার টাকার সম্ভার। এই প্রতিটি শাড়ি সাদা সেলোফেন পেপারে যত্ন করে ভরে রাখা হয়েছে।
প্লাস্টিকের বস্তার ভেতরে সিল করা। সোমবার লকডাউনে সাতসকালে সরগরম মহিলাদলের গেঁওয়াখালি। ইলিশ ধরার ট্রলারে অন্ধকার কাটতে না কাটতেই ধরা পড়লো ৫ কোটি টাকার মূল্যে পাওয়া গেল শাড়ি। হলদিয়া কোস্টগার্ড উদ্ধার হওয়া শাড়ির মূল্য প্রায় পাঁচ কোটি টাকা জানালেন। লকডাউনে সাতসকালেই গেঁওয়াখালি বাজার থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে নাটশাল আশ্রম। সেখানে নদীর পাড়ে হেলিকপ্টার নামার মতো শব্দ হচ্ছে।আর তা শুনে ঘর থেকে বেরিয়ে আসছেন মানুষজন। ছুটে এসে তারা দেখেন হলদিয়া কোস্টগার্ড দুটি ওভার ক্যাপট। ততক্ষণে সেগুলিকে রূপনারায়ন নদী থেকে চরে উঠে এসেছে। দাঁড়িয়ে থাকা ঐ ট্রলারকে এ কে ফরটিসেভেন রাইফেল নিয়ে ঘিরে ফেলেছে প্রায় ৪০ জন কোস্টগার্ডে ৪০ জন জোয়ান। জোয়ানের এই অবস্থা দেখে যায় গ্রামবাসীরাও ততক্ষণে হকচকিয়ে যায়।
ততক্ষণে ট্রলার ছেড়ে চোরাকারবারীরা আত্মগোপনে চেস্টা। কোস্টগার্ডের অভার্কাস্ট দেখেই ডলারের কয়েকজন ঝাঁপ দিয়ে দৌড়ে পালায়।
একদল জোয়ান চোরাকারবারীদের পিছু নেয়।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, দুটো টোটোয়ে চেপে তাদের পালাতে দেখা যায়। এলাকার লোকজন তৎপরতায় পূর্ব শ্রীরামপুর থেকে ধরা পড়ে যায় ।
কিন্তু ওই নির্জন জায়গায় সাতসকালে টোটোকি ভাবে পৌঁছল তা নিয়ে ধন্দে রয়েছে পুলিশ।
এই ঘটনায় স্থানীয় কারোর যোগ রয়েছে কিনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
টলার থেকে কয়েকজন ঝাঁপ দিয়ে পালালেও ভিতরে কেউ থাকতে পারে বলে অনুমান। অনুমান করেন জোয়ানরা তাই তারা আগ্নেয়াস্ত্র উঁচিয়ে সন্তর্পনে ট্রলারে ওঠেন শুরু হয় তল্লাশি। তাতেই দেখা যায় কোটি কোটি টাকার শাড়ি। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন দুদিন আগে থেকেই ওই এলাকায় দাঁড়িয়েছিল ।সেটি মাছধরা ট্রলার বলে এলাকার মানুষ ভেবেছিলেন ।কারণ ইলিশের মৌরশুমে বহু ট্রলার গেঁওয়াখালী এলাকায় মাছ ধরে।
হলদিয়া অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পার্থ ঘোষ বলেন কোস্টগার্ড ও কাস্টম যৌথ অভিযান চালিয়ে সন্দেহজনক ট্রলার আটক করা হয়েছে। ট্রলারের নাম সাগর। সূত্রের খবর ট্রলারের সমস্ত জিনিসপত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ওই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ছয়জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। আটক ডলারের রেজিস্টার নম্বর কাকদ্বীপের।আটক ব্যক্তিরা ও কাকদ্বীপের বাসিন্দা বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে।রেজিস্ট্রেশন নম্বর টি সঠিক কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
হলদিয়া কোস্টগার্ডের ডিআইজি সত্য রঞ্জন দাস বললেন কোস্টগার্ড এবং কাস্টমস ৬ আগস্ট থেকে নজরদারি চালাচ্ছিল।এদিন সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ হুগলি রূপনারায়নের মোহনায় টলার টিকিট পাকড়াও করা হয়। প্রায় ৫ কোটি টাকার বাংলাদেশের দামি শাড়ি নদী পথে পাচার করা হচ্ছিলো বাজেয়াপ্ত শাড়ি ও জামাকাপড় কাস্টমের হাতে হস্তান্তর করা হয়েছে।
No comments