করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করছে সারা দেশ। আর এই লড়াইয়ে চিকিৎসক-নার্স বা স্বাস্থ্যকর্মীদের মতোই সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে সাধারণ মানুষকে পরিষেবা দিচ্ছেন পুলিশের কর্মী-অফিসাররা। দিনরাত এক করে রাস্তায় নেমে কাজ করে চলেছে তাঁরা। লকডাউন রক্ষ…
করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করছে সারা দেশ। আর এই লড়াইয়ে চিকিৎসক-নার্স বা স্বাস্থ্যকর্মীদের মতোই সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে সাধারণ মানুষকে পরিষেবা দিচ্ছেন পুলিশের কর্মী-অফিসাররা। দিনরাত এক করে রাস্তায় নেমে কাজ করে চলেছে তাঁরা। লকডাউন রক্ষা, সাধারণ মানুষ মাস্ক ব্যবহার করছেন কিনা নজরদারি চালানো থেকে শুরু করে কনটেনমেন্ট জোনে 'হোম ডেলিভারির' ব্যবস্থা-- সব দায়িত্ব সামলাচ্ছেন তাঁরা। আর তা করতে গিয়ে মারণ ভাইরাসে খপ্পড়ে পড়তে হচ্ছে তাঁদের। প্রতিদিন বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা।
এমতাবস্থায় পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় প্রথম করোনার কবলে এক কোস্টাল থানার ওসি ও সঙ্গে আরও চারজন কনস্টেবল ও পুলিশ কর্মীর রিপোর্ট পজিটিভ। আক্রান্ত পুলিশ অফিসার ও কর্মীরা সকলেই খেজুরি তালপাটি কোস্টাল থানায় কর্মরত। যে কারণে থানায় যেতে ভয় পাচ্ছেন অন্যান্য পুলিশ ও সিভিক থেকে স্থানীয় মানুষজন।
জানা গিয়েছে,খেজুরি তালপাটি কোস্টাল থানার ওসি নাড়ুগোপাল বিশ্বাস গতকাল করোনা টেস্ট করিয়েছিলেন। রবিবার তার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। সেই সঙ্গে বাকি চারজনের রিপোর্টও পজিটিভ আসে। গত শুক্রবার এক কনস্টেবলের করোনা পজিটিভ ধরা পড়ায় থানার ওসি এবং ৫ জন কনস্টেবলের করোনা পরীক্ষা করা হয়। রবিবার একজনের রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। বাকি চারজনের রিপোর্ট পজিটিভ হয়। এরপরই গোটা থানা জুড়ে আতঙ্ক তৈরি হয়।তবে এবার থানার আধিকারিক থেকে কনস্টেবল, করোনা আক্রান্ত পুলিশ কর্মীরা। এরই মধ্যে অন্যান্য কনস্টেবল থেকে সিভিকদের থানায় কাজ করতে হচ্ছে আতঙ্কের মধ্যেই। তবে করোনা সংক্রমণ এড়াতে সাধারণ মানুষদের সচেতন করতে গিয়ে কখন নিজেই আক্রান্ত হয়ে পড়েছেন তা টের পাননি থানার ওসি।তাছাড়া খেজুরি দু নম্বর ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে গোটা থানা এলাকায় দ্রুত স্যানিটাইজেশনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান বিডিও রমল সিং বির্দী।তবে এই থানার ওসি ও চারজন কনস্টেবলের সংস্পর্শে কারা কারা এসেছিল তা খতিয়ে দেখছে প্রশাসন।
No comments