পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুর থানার কোটবাড় গ্রামের বীর সৈনিক বছর ২৩ এর দীপঙ্কর পন্ডা। ভারত সীমান্তের পশ্চিমে পাঞ্জাব পাঠানকোটে টেম্পোরারি ডিউটিতে নিজের কর্তব্য পালন করে গিয়েছেন। বেশ কয়েকদিন ধরে ওই বীর সৈনিকের জয়েন্ট খেতে শারীরিক…
পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুর থানার কোটবাড় গ্রামের বীর সৈনিক বছর ২৩ এর দীপঙ্কর পন্ডা। ভারত সীমান্তের পশ্চিমে পাঞ্জাব পাঠানকোটে টেম্পোরারি ডিউটিতে নিজের কর্তব্য পালন করে গিয়েছেন। বেশ কয়েকদিন ধরে ওই বীর সৈনিকের জয়েন্ট খেতে শারীরিক অসুস্থতা হওয়ায় তাঁকে দ্রুত পাঠানকোট মেলেটারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শুধু নিজের মাতৃভূমি রক্ষার লড়াই নয়, নিজের জীবনের সাথেও বাঁচার তাগিদে লড়াই করলেন, তবে শেষরক্ষা হয়নি। পাঠানকোটে কর্তব্যরত অবস্থায় থাকাকালীন
কোনো কারনে শারীরিক অসুস্থতাবোধ করেন ওই শহীদ সৈনিক,তৎক্ষনাৎ জওয়ানকে পাঠানকোট মেলেটারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। অল্প বয়সি জওয়ান দীপঙ্করের সদ্য জীবনের পথচলা শুরু হয়েছিল দেশরক্ষাকারী বীর সৈনিক হিসেবে। সামনের ভবিষ্যতে সাজানো ছিল অনেক স্বপ্ন। দেশরক্ষার মন্ত্র নিয়ে যেমন বন্দুক কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন তেমন সংসারের দায়ভারও ছিল তাঁর কাঁধে। কিন্তু বাড়ির সাথে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করে ভারতের অন্যান্য সৈনিকদের সান্নিধ্য ছিন্ন করে পৃথিবী থেকে চিরতরে বিদায় নিয়ে শহীদ হলেন ভগবানপুরের ২৩ বছর বয়সী দীপঙ্কর পন্ডা। তাঁকে শেষ বিদায় জানাতে ভগবানপুরের কোটবাড়ে তাঁর নিজের বাড়িতে বহু মানুষের ভিড় জমে, এমনকি জাতীয় পতাকায় তাঁকে সম্মান জানিয়ে, তাঁর শহীদ দেহে ফুল দিয়ে শেষ শ্রদ্ধা জানায় ওই গ্রামের মানুষজন। পাঠানকোট থেকে তাঁর শহীদের খবর আসতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন বাড়ির স্বজনরা। শোকস্তব্ধ গোটা ভগবানপুরবাসি ,অল্প বয়সে জীবনযুদ্ধে হার মানা সৈনিক দীপঙ্কর পন্ডা বাঁচার লড়াইে হার মেনে ওখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। গতকাল নিজ বাড়িতে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।
No comments