করোনা সংক্রমণ নিয়ে রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য দপ্তর জেরবার।বেডের অভাবে হাসপাতালের সামনে করোনা সংক্রমিত রোগী কে এম্বুলেন্সেই প্রাণ হারাতে হচ্ছে। করোনা চিকিৎসার বিভ্রাটের পাশাপাশি প্রসূতি বিভাগে ও সাধারণ ওয়ার্ডে চিকিৎসা বিভ্রাট চরমে উ…
করোনা সংক্রমণ নিয়ে রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য দপ্তর জেরবার।বেডের অভাবে হাসপাতালের সামনে করোনা সংক্রমিত রোগী কে এম্বুলেন্সেই প্রাণ হারাতে হচ্ছে। করোনা চিকিৎসার বিভ্রাটের পাশাপাশি প্রসূতি বিভাগে ও সাধারণ ওয়ার্ডে চিকিৎসা বিভ্রাট চরমে উঠেছে। এগরা- পটাশপুর সীমান্তবর্তী খড়াই গ্রামের মৃত্যুঞ্জয় বেরার সহধর্মিণী সোনালী বেরা সন্তান প্রসবের জন্য কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে মাতৃমা বিভাগে গত ১৭ ই অাগষ্ট রাত ৩ টায় ভর্তি হন।প্রসব যন্ত্রণা চরমে উঠলে ১৮ ই অাগষ্ট সকালে নার্স বা চিকিৎসকের অনুপস্থিতিতে বাচ্চা মাতৃজঠর থেকে কিয়দংশ বেরিয়ে থাকে। দীর্ঘসময় বাচ্চা ঐরকমভাবে থাকায় মারা যায় বলে প্রসূতি সূত্রে খবর।বাড়ীর লোকজনকে সকাল ১০ টায় বলা হয় বাচ্চা ভালো অাছে এবং চা খাওয়ার জন্য হাসপাতালের স্টাফেরা চা খাওয়ার জন্য ২০০ টাকা পর্যন্ত চান।সকাল ১১ টায় দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক বলেন বাচ্চা অাইসিইউ তে ভর্তি অাছে।বাচ্চার পরিবার বারে বারে বাচ্চা কে দেখতে চাইলেও দেখানো হয় নি। উল্টে বাচ্চার বাবাকে দিয়ে হাসপাতাল কতৃপক্ষ স্বাক্ষর করিয়ে নেন।১৮ ই অাগষ্ট রাত্রি ১১ টার সময় বাচ্চার পরিবারকে জানানো হয় বাচ্চা মারা গেছে। রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের নির্বাচনী এলাকায় হাসপাতালে র চিকিৎসা পরিষেবা র যদি এই বেহাল অবস্থা হয় তাহলে রাজ্যে চিকিৎসা পরিকাঠামো র বেঅাব্রু অবস্থা সহজেই অনুমেয়। সিপিঅাইএম নেতা তথা প্রাক্তন সহকারী সভাধিপতি মামুদ হোসেন নন্দীগ্রাম স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য অাধিকারিককে ই-মেইল বার্তা পাঠিয়ে চিকিৎসায় চরম অবহেলায় সদ্য প্রসূত শিশু র মৃত্যুর ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের দাবী জানিয়েছেন। সিপিঅাইএম নেতা মামুদ হোসেন বলেন চিকিৎসা ক্ষেত্রে নৈরাজ্যর বিরুদ্ধে সর্বস্তরের জনসাধারণ কে জোটবদ্ধ হতে হবে।
No comments