Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

আকাশ ছোঁওয়া দাম নয় মাস্কের, শহরে মাত্র দশ টাকায় মিলছে সমস্ত রকমারি মাস্ক

করোনাভাইরাস মহামারী প্রতিরোধে ইতিমধ্যে টিকা আবিষ্কার করেছে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়।তবে তা মানব শরীরে পরীক্ষার পর ভারতের বাজারে তা স্বাভাবিক করতে এখনও আরও সময় লাগবে। এই অবস্থায় মানুষের হাতে রয়েছে মাত্র দু'টি অস্ত্র। মুখের জী…





 করোনাভাইরাস মহামারী প্রতিরোধে ইতিমধ্যে টিকা আবিষ্কার করেছে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়।তবে তা মানব শরীরে পরীক্ষার পর ভারতের বাজারে তা স্বাভাবিক করতে এখনও আরও সময় লাগবে। এই অবস্থায় মানুষের হাতে রয়েছে মাত্র দু'টি অস্ত্র। মুখের জীবানুরোধী মুখোশ বা মাস্ক এবং হ্যান্ড সানাইটাইজার বা যে কোনও সাবান। তবে সারা দেশ ও রাজ‍্যজুড়ে যেভাবে কোভিড-১৯'এর হুমকি যত বাড়ছে ততই দোকানে দোকানে অভাব দেখা দিচ্ছে এই দুইয়ের। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে হ্যান্ড স্যানিটাইজার এবং ফেস মাস্ক-কে প্রয়োজনীয় পণ্য় হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে।ফলে প্রথম দিকে মাস্কের দাম বেশি থাকলেও পরে দাম কমল মাস্কের।বলা ভালো ফেস কভারের।

এই অবস্থায় পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরা শহরের ত্রিকোণ পার্ক,দিঘামোড়,পুরোনো বাসস্ট্যান্ড সহ একাধিক জায়গায় রাস্তার পাশে ঢেলে বিক্রি হচ্ছে সেই মাস্ক। নানান রঙের।যেমন রঙ খুঁজবেন। দাম মাত্র দশ টাকা। এক টুকরো কাপড়। দুকোনে দুটি দড়ি বাঁধা। তবে কোনো কোনো মাস্কে দড়ির বদলে ইলাস্টিক দেওয়া মাস্কও আছে।তার দাম পনের টাকা। বাজার করতে বেরিয়ে বাসিন্দারা আসছেন, রঙ পছন্দ করে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন নিজের ও পরিবারের অন্যান্যদের জন্য।তবে করোনা থেকে রেহাই পেতে কেন্দ্রীয় সরকার ফেস কভার ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়ার এই মাস্কের চাহিদা বেড়েছে।

করোনার সংক্রমণ শুরু হতেই মাস্কের খোঁজ শুরু করেছিলেন বাসিন্দারা।কিন্তু প্রথম প্রথম ভাগ্যবান কেউ কেউ এন নাইটি ফাইভ মাস্ক পেয়েছেন। তারপর তা বিক্রি হয়েছে কালো বাজারে। চড়া দামে।কোথাও কোথাও আড়াই শো টাকার মাস্ক বিক্রি হয়েছে পাঁচশো ছশো টাকায়।তারপর থেকেই তা অধরা।এক মাসের ওপর এগরা শহরেবুকে আসল এন নাইটি ফাইভ মাস্কের দেখা নেই, কিন্তু শহরের বেশকিছু দোকানে যে সমস্ত নাইটি ফাইভ মাস্কের দেখা মিলছে তা আবার নকল।ফলে বাধ্য হয়েই রাস্তার পাশে দোকানে অথবা রাস্তার ধারে ঢেলে বিক্রি হওয়া কাপড় ও টিসু কাপড়ের মাস্ক ব্যবহার করছেন সাধারণ মানুষজন।


কিন্তু সম্প্রতি জানা গিয়েছে, হাওয়ায় ছড়াতে সক্ষম করোনার সংক্রমণ। তা সামনে আসার পরই ফেস কভার ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। প্রয়োজনে সুতীর কাপড় নুন জলে ফুটিয়ে নিয়ে তা সেলাই করে ফেস কভার তৈরি করে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। তার জেরে বেড়েছে মাস্কের চাহিদা। কিন্তু দোকানে দোকানে মাস্ক অমিল। তাই সস্তার ফেস কভারেই ভরসা রাখতে বাধ্য হচ্ছেন বাসিন্দারা।


তবে আদৌও কি এই সমস্ত মাস্ক করোনা প্রতিরোধে কার্যকরী ? প্রশ্ন উঠেছে বিশেষজ্ঞ মহলে।এবিষয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন,খুব নিম্নমানের কাপড় দিয়ে তৈরি হচ্ছে এই সমস্ত মাস্ক।যার ফলে তা খুবই কম দামে শহরের বিভিন্ন প্রান্তের রাস্তায় ঢেলে তা বিক্রি করছেন বেশকিছু ব্যবসায়ী।তবে করোনা প্রতিরোধে করার জন্য এই মাস্ক তেমন কার্যকরী নয়।কিন্তু সাধারণ মানুষ এখনো তা না বুঝে সেই সমস্ত মাস্ক কিনে ব্যবহার করে চলছেন।তবে করোনা সচেতনতার দিক থেকে মানুষ যে এখনও অনেক পিছিয়ে তা প্রমাণ মিলছে মাস্ক ব্যবহারে।

No comments