সরকারী পরিসংখ্যান অনুযায়ী গত শনিবার লকডাউনের দিনেই নাকি রাজ্যে ১৮ লক্ষ শ্রমদিবসের কাজ হয়েছে। অফিস বন্ধ,মানুষ গৃহবন্দী, তাহলে কাজ কে বা কারা করল? এই প্রশ্নে সারা বাংলা তোলপাড়। গল্পের গরু গাছে উঠত বলে অামরা জানতাম।কিন্তু রেগায় ক…
সরকারী পরিসংখ্যান অনুযায়ী গত শনিবার লকডাউনের দিনেই নাকি রাজ্যে ১৮ লক্ষ শ্রমদিবসের কাজ হয়েছে। অফিস বন্ধ,মানুষ গৃহবন্দী, তাহলে কাজ কে বা কারা করল? এই প্রশ্নে সারা বাংলা তোলপাড়। গল্পের গরু গাছে উঠত বলে অামরা জানতাম।কিন্তু রেগায় কাজের গরু গাছে চড়েই বসে অাছে।এ যেন দুধে জল মেশানোর পরিবর্তে জলে দুধ মেশানো র উপাখ্যান। অামাদের জেলার ২২৩ টি গ্রামপঞ্চায়েতে কমবেশি রেগার কাজ দেখানো হয়েছে। ক্ষেতমজুর, পরিযায়ী শ্রমিক ও কর্মহীন মানুষজন কাজের জন্য হন্যে হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। কাজের দেখা নাইরে কাজের দেখা নাই।অবশ্য ১০০ দিনের কাজ যত্রতত্র সামান্য পরিমানে চলছে।কাগজে-কলমে কাজের শেষ নেই।প্রায় জবকার্ড তো গ্রামের হর্তাকর্তা দের হস্তগত।মাস্টার রোল তৈরি করে অনলাইনে অাপলোড করলেই কাজ শেষ।তারপরে অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকে যাবে।পাশবই অার সই করা উইথড্রয়াল স্লিপ তো বাবুদের হাতে। কাজ না করে যতটা পাওয়া যায় তাতেই জবকার্ড হোল্ডার রা সন্তুষ্ট। সরকার কা মাল দরিয়া মে ঢাল - এই নীতিতেই সব কিছু চলছে। পরিত্রাণের কোন উপায় নেই।দুর্নীতির প্রাতিষ্ঠানিক রূপ সর্বত্র। অামফান অনুদান নিয়ে দলবাজি, স্বজনপোষণ ও দুর্নীতি অাজ সর্বজনবিদিত।রাজ্য সরকারের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের প্রধান সচিব কে ই-মেইল বার্তা পাঠিয়ে রেগা সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বেলাগাম দুর্নীতি র তদন্তের দাবী জানিয়ে ই-মেইল বার্তা পাঠিয়েছেন সিপিঅাইএম নেতা তথা প্রাক্তন সহকারী সভাধিপতি মামুদ হোসেন। সিপিঅাইএম নেতা মামুদ হোসেন জানান মানুষ দিশেহারা ও অর্থনৈতিক সঙ্কটে জেরবার।কেন্দ্র ও রাজ্যের শাসক দল বা সরকারের কোন হেলদোল নেই। গণঅান্দোলনের পথই পরিত্রাণের উপায় বলে মন্তব্য করেন সিপিঅাইএম নেতা মামুদ হোসেন।
No comments