Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

হলদিয়ায় রাতারাতি পালস অক্সিমিটারের কালোবাজারি

শিল্প শহর হলদিয়ায় রাতারাতি চাহিদা বেড়েছে পালস অক্সিমিটারের । হৃৎস্পন্দন ও শরীরে রক্তের পরিমান মাপার এই যন্ত্রটি করোনার সময়ে খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে । সহজে বহনযোগ্য এই যন্ত্রটি হাতের আঙুলের মাথায় লাগিয়ে জানা যায় রক্তে অক্সিজে…





 শিল্প শহর হলদিয়ায় রাতারাতি চাহিদা বেড়েছে পালস অক্সিমিটারের । হৃৎস্পন্দন ও শরীরে রক্তের পরিমান মাপার এই যন্ত্রটি করোনার সময়ে খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে । সহজে বহনযোগ্য এই যন্ত্রটি হাতের আঙুলের মাথায় লাগিয়ে জানা যায় রক্তে অক্সিজেনের পরিমান । সেই নিরিখে করোনা আক্রান্ত উপসর্গহীন রুগী ঘরে থাকবেন না কি হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে তার প্রাথমিক ধারনা পাওয়া যায় । এই যন্ত্রটির রাতারাতি চাহিদা তুঙ্গে । 
বিভিন্ন মেডিসিন শপে হামলে পড়ছেন ক্রেতারা । কিন্তু অমিল এই বস্তুটি । ক্রেতারা দাম দিয়েও কিনতে রাজি হচ্ছেন । কিনতে সব দোকানেই একই কথা , সাপ্লাই নেই । উপসর্গহীন রোগীদের ঘরে থাকার নিদান সামনে আসার পর থেকেই বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে কোভিড কিটস সামনে আসছে । সেখানেই বলা হচ্ছে বাড়িতেই রাখার দরকার রয়েছে এই যন্ত্রটি । শরীরের মধ্যে অক্সিজেনের পরিমান নির্ণায়ক এই যন্ত্রটির খোঁজ করছেন অনেকেই । হলদিয়ার ব্রজলালচকের একটি বড় ওষুধ দোকানের কর্মী প্রকৃতি ঘোড়াই জানান , প্রচুর মানুষ খোঁজ করছেন পালস অক্সিমিটার । কিন্তু এই মুহূর্তে আমাদের কাছে সাপ্লাই নেই । অর্ডার দেওয়া হয়েছে । একই কথা হলদিয়া টাউন্শিপ এলাকার একটি ওষুধ দোকানের মালিক শক্তি পালের । শক্তি জানান , এই এলাকায় উচ্চবিত্ত মানুষের বাস । প্রচুর চাহিদা থাকলেও আমাদের দোকানে একটিও নেই । আগে এই  ধরনের পালস অক্সিমিটার মাসেও একটি বিক্রি হতনা । এখন অনেকেই চাইছেন কিনতে । এর দাম মোটামুটি হাজার টাকার মধ্যে ছিল  । দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে কোম্পানি বলে জানতে পারছি। অক্সি মিটার কালবাজারি হতে পারে বলে আশংকা প্রকাশ করছেন  স্বাস্থ্য পরিষেবার সাথে যুক্ত মানুষেরা । হলদিয়া টাউনশিপের একটি ওষুধ দোকানের মালিক গৌরিশঙ্কর প্রধান জানান , নামি কোম্পানির এই পালস অক্সিমিটারের দাম ২৮০০ টাকার মত । লোকাল ব্রান্ড রয়েছে । সেই লোকাল পালস অক্সি মিটারের দাম দেড় হাজার টাকার মতন। 
তিনি জানান , একটি শিল্প সংস্থা থেকে  কর্মীদের জন্য অর্ডার দেওয়া হয়েছে । কিন্তু এই পালস অক্সিমিটার পাওয়া যাচ্ছেনা ।  হলদিয়ার দুর্গাচকের হাসপাতাল সংলগ্ন একটি ওষুধ দোকানের কর্মী নাড়ুগোপাল দাস জানান , এই পালস অক্সিমিটার বিভিন্ন নার্সিং হোম বা হাসপাতালের সাথে যুক্ত মানুষজন নিতেন । এখন সাধারন মানুষ আসছেন তা কিনতে । শুধু তাই নয় অনেকেই জানতে চাইছেন , অক্সিজেন সিলিন্ডার যদি দরকার হয় তাহলে কোথায় পাওয়া যায় । মানুষের মধ্যে এক ধরনের আতংক কাজ করছে । নাড়ুগোপাল জানান , বাড়িতে পালস অক্সিমিটারের মাধ্যমে শরীরে অক্সিজেন এর পরিমান মাপতে সমস্যা না হলেও বাড়িতে অক্সিজেন সিলিন্ডার খুলে রুগীকে দেওয়ার জন্যও টেকনিক্যাল সাপোর্ট লাগে । যেকোন মানুষ নিজেই দিতে পারেন না । বিষয়টি ভালো করে জানতে হবে ।  
 বাড়িতে পালস অক্সিমিটার কিনতে চেয়ে দোকানে গিয়ে ঘুরে এসেছেন সুজয় মাইতি । হলদিয়া উপনগরীর এই বাসিন্দা জানান , এই পালস অক্সিমিটার পরে পাওয়া যাবে কিনা তাই খোঁজ নিয়েছিলাম । কিন্তু একাধিক দোকানেই তা অমিল । দোকানে যাওয়ার ঝক্কি নেননি মহিমা সেন । মহিমা অনলাইনেই অর্ডার দিয়েছেন এই বস্তুটি । 
 শুধু তাই নয় জ্বর হলে কিভাবে কোভিড পরীক্ষা করাব সেই প্রশ্নেও নাজেহাল অনেকেই । বিভিন্ন ওষুধ দোকানে গিয়ে জানতে চাইছেন এই প্রশ্ন । আশংকা যে হারে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে তাতে বাড়িতেই হয়তো উপসর্গহীন রুগীদের চিকিৎসা করতে হবে । 
   হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালের সুপার সুমনা দাশগুপ্ত জানান ,হোম আইসোলেশনে থাকার সময় এই পালস অক্সিমিটার খুব দরকারি । এই কিনতে চাওয়ার মধ্যে অস্বাভাবিকতা কিছু নেই । তিনি জানান , অযথা আতংকিত হওয়ার দরকার নেই । জ্বর হলে নিকটবর্তী হাসপাতালের এমারজেন্সি বা ফিভার ক্লিনিকে আসা উচিত । সেখান থেকে চিকিৎসকের মনে হলে তিনি ভর্তি করবেন এবং কোভিড পরীক্ষা করতে বলবেন । পরীক্ষার ফলের ওপরের নির্ভর করবে কেমন হবে চিকিৎসা । কিভাবে সাধারণ মানুষ চিকিৎসা পেতে পারেন ? হলদিয়া পুরসভার  চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল  (স্বাস্থ্য )আজিজুল রহমান জানান ,  পুর এলাকায় স্বাস্থ্য কর্মীরা বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন । হেলথ কার্ড দিয়ে আসছেন । কোন সমস্যা হলে কাউন্সিলরদের জানালেই পুরসভা সাহায্যের জন্য হাত বাড়িয়ে দেবে । কোভিড পরীক্ষা থেকে শুরু করে  রুগীদের হাসপাতালে পৌঁছতেও সাহায্য করা হবে ।



No comments