দেশের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রাজ্যেও বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা।একের পর এক ট্রেনে-বাসে পরিযায়ী শ্রমিকরা ঘরে ফিরছেন।আক্রান্তের সংখ্যার অধিকাংশই বাইরের রাজ্য থেকে আসা শ্রমিক।বিশেষ করে মহারাষ্ট্র, তেলেঙ্গানা, দিল্লি থেকে রাজ্যে ফ…
দেশের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রাজ্যেও বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা।একের পর এক ট্রেনে-বাসে পরিযায়ী শ্রমিকরা ঘরে ফিরছেন।আক্রান্তের সংখ্যার অধিকাংশই বাইরের রাজ্য থেকে আসা শ্রমিক।বিশেষ করে মহারাষ্ট্র, তেলেঙ্গানা, দিল্লি থেকে রাজ্যে ফেরা শ্রমিকদের দেহেই পাওয়া গিয়েছে করোনা জীবাণু ।নতুন করে বহু জেলায় করোনার সংক্রমণ বাড়ছে হু হু করে।
এমতাবস্থায় পূর্ব মেদিনীপুর জেলাতেও প্রতিদিন হু হু করে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা।তবে করোনা আক্রান্ত হলেও অনেকে ইতিমধ্যে সুচিকিৎসা পেয়ে সুস্থ হয়ে নিজেদের বাড়ি ফিরছেন।তবে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় করোনা চিকিৎসাকেন্দ্র হাতে গোনা মাত্র ২টি।কিন্তু দিনে দিনে রাজ্যের পাশাপাশি জেলায়ও করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ায় চিন্তিত স্বাস্থ্য দপ্তর।তবে সব চিন্তা কাটিয়ে করোনা চিকিৎসাকেন্দ্র বাড়াতে রাজ্য থেকে জেলা স্বাস্থ্য দফতর ইতিমধ্যে তৈরি হয়ে কাজে নেমে পড়েছেন। কাঁথির সঞ্জীবনী হাসপাতাল করোনা হাসপাতাল হিসেবে চালুর অপেক্ষায়।বুধবার সঞ্জীবনী হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ও হাসপাতালের কর্মীদের করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়ে প্রাথমিক প্রশিক্ষণ সারা হয়। প্রশাসন রোগী পাঠালেই সঞ্জীবনী হাসপাতালে করোনা রোগীদের ভর্তি নেওয়া হবে বলে জানা যাচ্ছে।কাঁথি মহকুমা হাসপাতালের সুপার ডঃ সব্যসাচী চক্রবর্তী বলেন,ইতিমধ্যে সঞ্জীবনী করোনা হাসপাতালে করোনা রোগীদের ভর্তির জন্য চূড়ান্ত প্রস্তুতি চলছে। কাঁথি পৌর প্রশাসক প্রধান সৌমেন্দু অধিকারী জানান সঞ্জীবনী হাসপাতালের পরিকাঠামো চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার জন্য তৈরী।
তবে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় করোনা আক্রান্ত রোগীদের সংখ্যা বাড়ার পাশাপাশি আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য কাঁথি শহরে নতুন কোভিড হাসপাতাল হওয়ায় খুশি জেলাবাসী।
প্রসঙ্গত, চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নতুন করে আরো একটি করোনা হাসপাতাল গড়ে তুলতে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা কাঁথি শহরের মেচেদা বাইপাস সংলগ্ন এলাকায় থাকা সঞ্জীবনী নামক একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে পরিদর্শন করেন।
তবে করোনা রোগী চিকিৎসা জন্য পাঁশকুড়া বড় মা করোনা হাসপাতাল ও চণ্ডীপুরে আইসোলেশন হাসপাতাল রয়েছে।তবে কাঁথিতে হলে পরবর্তীকালে এখানে রোগীকে রেখে চিকিৎসা করা হবে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিতাই চন্দ্র মণ্ডল জানান, করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য মূলত পাঁশকুড়া বড়মা করোনা হাসপাতাল ও চন্ডীপুর হাসপাতালেই নিয়ে যাওয়া হয়।কিন্তু কাঁথিতেই করোনা ওয়ার্ড তৈরি থাকলে পরবর্তীকালে করোনা আক্রান্তদের এখানে রেখে চিকিৎসা করা যাবে।
No comments