Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

উচ্চ মাধ্যমিকে নজরকাড়া সাফল্য সুতাহাটা দৃষ্টিহীন স্কুলে

মাধ্যমিকের পর উচ্চমাধ্যমিকের নজরকাড়া সাফল্য পেলেন সুতাহাটা চৈতন্যপুর বিবেকানন্দ মিশন আশ্রমের  আবাসিক দৃষ্টিহীন স্কুলের পড়ুয়ারা। রাজ্যের সামনের সারিতে জায়গা করে নিয়েছেন এই স্কুলের ছাত্ররা ১৫ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১৪ জনই স্টা…


মাধ্যমিকের পর উচ্চমাধ্যমিকের নজরকাড়া সাফল্য পেলেন সুতাহাটা চৈতন্যপুর বিবেকানন্দ মিশন আশ্রমের  আবাসিক দৃষ্টিহীন স্কুলের পড়ুয়ারা। রাজ্যের সামনের সারিতে জায়গা করে নিয়েছেন এই স্কুলের ছাত্ররা ১৫ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১৪ জনই স্টার পেয়েছেন। একজন স্টার না পেলেও পাস করেছেন প্রথম বিভাগেই। এদের কারো বাবা গাড়ির ড্রাইভার কারোর মা পরিচারিকা মনের জোর আর পরিশ্রমের কাছে হার মেনেছে আর্থিক ও শারীরিক প্রতিবন্ধকতা। উচ্চমাধ্যমিক সৈয়দ পারভেজ আলম এবং সৌভিকে বসিয়েছে তারকার আসনে। স্কুল থেকে এবার সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছেন পারভেজ ৪৬৮ অর্থাৎ ৯৩. ৬ শতাংশ নম্বর সবাইকে চমকে দিয়েছেন দৃষ্টিহীন ছাত্রটি। পারভেজ বাংলায় ৯২ ইংরেজিতে ৮৩ এডুকেশন-৯৪ ইতিহাসের ৯৪ ও সংস্কৃতি ৯৪ নম্বর পেয়েছেন পারভেজ ছোটবেলায় পূর্ব বর্ধমান কেতুগ্রাম থেকে হলদিয়া দৃষ্টি হীন স্কুলে ভর্তি হয়েছিলেন। তাদের সামান্য কিছু জমি রয়েছে। ক্ষীণ দৃষ্টি জন্মেছিল পারভেজ। বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তার দৃষ্টিশক্তি আরো কমতে থাকে। কখনো ব্রেইল পদ্ধতিতে কখনো বইয়ের উপরে ম্যাগনিফাইং গ্লাস রেখে পড়াশোনা করেন ।তিনি পরিশ্রম আর চেষ্টার ফলে সাফল্য এনে দিয়েছে। পারভেজ ইতিহাস নিয়ে গবেষণা করতে চান। ভর্তি হতে চান বিশ্বভারতীতে। পড়াশোনার পাশাপাশি
শান্তিনিকেতনে সংস্কৃতি চর্চার সুযোগ রয়েছে। মিশনে থাকার সময় তবলা ও গানের  নিয়মিত চর্চা করতান। লকডাউনে একঘেয়েমি কাটাতে  গিটার শিখেছি।এই স্কুল থেকে প্লাবনপেয়েছে ৪৬২ অর্থাৎ ৯৩.৪ শতাংশ নম্বর। সৌভিক পেয়েছে ৪৫৮অথাৎ ৯১.৬ শতাংশ নম্বর। রাবণের বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনা বসিরহাট এলাকায় হাড়োয়া এলাকায়। মাধ্যমিকের পর চৈতন্য পুর মিশন স্কুলে ভর্তি হয়েছিলেন।  তিন ভাইবোনের মধ্যে তিনি একমাত্র দৃষ্টিহীন। বাবা দিনমজুর তার ইচ্ছা বাংলায় অনার্স নিয়ে পড়াশোনা করা। সৌভিকের  বাড়ি হুগলি গোহাট এলাকায়। গান গাইতে এবং দাবা খেলতে ভালোবাসেন তিনি। মিশনের বাকি কি কৃতীদের বাড়ি দক্ষিণ বঙ্গের বিভিন্ন জেলায়। অন্তত গরিব পরিবারের এই ছাত্রছাত্রীরা দৃষ্টি হীন হওয়ার কারণে প্রি-প্রাইমারি থেকেই বিবেকানন্দ মিশন স্কুলে পড়াশোনা করেছেন। রাজ্য সরকার এদের পড়াশোনার জন্য আর্থিক সহায়তা করে। পারভেজ প্লাবন সৌভিক ছাড়াও বাকি দৃষ্টিহীন পড়ুয়ারা ও ভালো নম্বর পেয়েছেন।

No comments