একশো শতাংশ শারীরিক প্রতিবন্ধী হওয়া সত্ত্বেও সম্প্রতি আমপান ঝড়ে ঘর ভাঙ্গার ক্ষতিপূরণের তালিকায় নাম নেই।তার অপরাধ সে ডিওয়াইএফআইয়ের সমর্থক। তার পরিবার এখনো বামপন্থী দলের সমর্থক এবং শাসক তৃণমূলের নেতাদের অন্ধ আনুগত্য ও স্তাবকতা…
একশো শতাংশ শারীরিক প্রতিবন্ধী হওয়া সত্ত্বেও সম্প্রতি আমপান ঝড়ে ঘর ভাঙ্গার ক্ষতিপূরণের তালিকায় নাম নেই।তার অপরাধ সে ডিওয়াইএফআইয়ের সমর্থক। তার পরিবার এখনো বামপন্থী দলের সমর্থক এবং শাসক তৃণমূলের নেতাদের অন্ধ আনুগত্য ও স্তাবকতা করতে জানেনা।তাই সরকারি সব ধরনের সাহায্য থেকে বঞ্চিত। বাড়ি ঘর ভেঙ্গে যাওয়ার কারণে বর্তমানে তার ঠিকানা গাছ তলায়। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথি তিন নম্বর ব্লকের দুরমুট গ্রাম পঞ্চায়েতের এলাকাধীন বেলদা গ্রামে। এইরকম পরিস্থিতিতে সরকারি সাহায্যের ঘোষণা শুনে প্রতিবন্ধী শুভ্র কান্তি পন্ডার বাবা পঞ্চায়েত থেকে বিডিও অফিসে দৌড়েছেন আবেদনপত্র নিয়ে।
তৃণমূল পরিচালিত দূরমুঠ গ্রাম পঞ্চায়েত ও কাঁথি 3 পঞ্চায়েত সমিতি থেকে শুধু আশ্বাসবাণী সার হয়েছে। ঝড়ে ক্ষতি পূরণের তালিকা করতে গিয়ে চূড়ান্ত হবে দলীয় স্বজনপোষণ দুর্নীতি চলছে।
প্রথমে জানতে পেরে ডিওয়াইএফআই মারিশদা লোকাল কমিটির উদ্যোগে এই পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় এবং সংগঠনের নেতৃত্ব রা কিছু খাদ্য সামগ্রী চাল,ডাল ,আলু, সোয়াবিন, সাবান ,সরিষার তেল , মুড়ি,চানাচুর,বিস্কুট ইত্যাদি সংগ্রহ করে সাহায্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়।
একইভাবে এই রকম পরিস্থিতিতে আজ ভারতের গণতান্ত্রিক যুব ফেডারেশন পূর্ব মেদিনীপুর জেলা কমিটি ও রাজ্য প্রতিবন্ধী সম্মিলনীর পক্ষ থেকে একটি ত্রিপল ও নগদ ২০০০ টাকা আর্থিক সাহায্য পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়।উপস্থিত ছিলেন জেলা যুব নেতা পরিতোষ পট্টনায়েক, হিমাংশু দাস ,ঝাড়েশ্বর বেরা, তাপস পড়্যা, সলিল ওঝা, মহাদেব রানা , রূপচাঁদ খান, খাজা আবুল আলী প্রমুখ । খুশি পরিবারের লোকেরা সহ এলাকার গণতান্ত্রিক মানুষজন।
No comments