চন্ডীপুর ব্লকের 7নং অঞ্চলের ব্রজলালচক গ্রামপঞ্চায়েতের অন্তর্গত গড়গ্রাম এলাকায় ১১৬র -বি জাতীয় সড়কের পাশে। মজে যাওয়া খাল সংস্কারের দাবিতে,বিজেপি শ্রমিক সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রতীকী অবস্থান শুরু করে ।
বিজেপি শ্রমিক সংগঠনের সভ…
চন্ডীপুর ব্লকের 7নং অঞ্চলের ব্রজলালচক গ্রামপঞ্চায়েতের অন্তর্গত গড়গ্রাম এলাকায় ১১৬র -বি জাতীয় সড়কের পাশে। মজে যাওয়া খাল সংস্কারের দাবিতে,বিজেপি শ্রমিক সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রতীকী অবস্থান শুরু করে ।
বিজেপি শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি শ্রীকান্ত মাইতি জানান , দীর্ঘদিন গড়গ্রাম থেকে চন্ডিপুরের, গড়গ্রাম থেকে তেরোপেখিয়া, গড়গ্রাম থেকে কলাবেড়িয়া, চন্ডিপুরের 7 নম্বর অঞ্চল 8 নম্বর অঞ্চল এবং 9 নম্বর অঞ্চলের মাঠে জল জমে থাকায় কৃষকরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে তারা বীজতলা তৈরি করতে পারছে না । জল নিকাশি ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় জোয়ার ভাটা খেলছে না। আমফান ঝড়ের গাছ পড়ে জল কালো হয়ে পচে গিয়েছে । একের একের পর এক মাঠে জল জমে রয়েছে তাতে কৃষকদের মাথায় হাত পড়েছে। একে করোনা আতঙ্ক তার উপর জমে থাকা জলে মশার আঁতুড়ঘরে সৃষ্টি হয়েছে। এই জমা জলে মশা ডিম পাড়ছে, এখান থেকে ডেঙ্গু ম্যালেরিয়ার মত রোগছড়াবার উপক্রম রয়েছে।
যেহেতু এই এলাকার মানুষ চাষ-বাস এর উপর নির্ভরশীল, বর্তমান পরিস্থিতিতে বীজ ধানতলা ফেলতে পারছেন না, পচা জল মাঠে ঢুকে বীজ ধান নষ্ট হয়ে যাচ্ছে এমন বিস্তর অভিযোগ এর কথা বলেন স্থানীয় মানুষজন।
প্রসঙ্গত শ্রীকন্ত বলেন এই জমা জল বের করার না ব্যবস্থা নিলে , তার বৃহত্তর আন্দোলনে যাবেন এমনই হুমকি দেন।
ব্রজলাল চক গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান
লক্ষণ মাঝি জানান, এন আর জি এস এ প্রকল্পের মাধ্যমে এই কাজ শুরু হয়ে যাওয়ার কথা ছিল, লকডাউন এর কারণে তা সম্ভব হয়ে ওঠেনি।
তবে ইতিমধ্যে কয়েকটি জায়গায় কাজ শুরু করেছেন, বৃষ্টির কারণে একটু সমস্যা হচ্ছে, বাকি কাজ খুব শীঘ্রই হয়ে যাবে বলে জানান।
চন্ডিপুর ব্লকের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক অভিষক দাস জানান, এই বিষয়টা নিয়ে আমার কাছে আলোচনা হয়েছে, তবে এটা সেচ দপ্তরের অধীনে, আমরা জানিয়েছি যাতে কাজটা স্থানীয় লেভেলে খুব দ্রুত সমাধান করা যায় সেটা নজর দিতে বলা হয়েছে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের
No comments