দীর্ঘ কয়েক মাস করোনা জর্জরিত পশ্চিমবঙ্গ সহ সারা বিশ্ব তারপর পশ্চিমবঙ্গের কয়েকটি জেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া আমফানের বিধ্বংসী তাণ্ডবলীলা কাটিয়ে উঠলেও রাজ্যের বিরোধী দলের লাগাতার রোষের মুখে পড়তে হচ্ছে শাসক দলকে। তারই প্রতিবাদ…
দীর্ঘ কয়েক মাস করোনা জর্জরিত পশ্চিমবঙ্গ সহ সারা বিশ্ব তারপর পশ্চিমবঙ্গের কয়েকটি জেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া আমফানের বিধ্বংসী তাণ্ডবলীলা কাটিয়ে উঠলেও রাজ্যের বিরোধী দলের লাগাতার রোষের মুখে পড়তে হচ্ছে শাসক দলকে। তারই প্রতিবাদে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে রাজ্যের প্রত্যেকটি বিধানসভায় বিধায়কদের সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে করোনা ও আমফান মোকাবিলায় রাজ্য সরকারের জরুরী পদক্ষেপ তুলে ধরেন বিধায়কা।আজ পাঁশকুড়া বিধানসভার বিধায়িকা ফিরোজা বিবি বলেন দেশজুড়ে যখন করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে ঠিক সেই সময় প্রধানমন্ত্রীর লকডাউন ঘোষণা করায় লক্ষ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিকদের চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়। পরিযায়ী শ্রমিকদের মুখ্যমন্ত্রী ফিরিয়ে আনার জন্য সচেষ্ট হয়েছেন। আর করোনা সংক্রমণ যাতে না হয় তার জন্য বিভিন্ন কোয়ারান্টাইন সেন্টার থেকে তাদের থাকা- খাওয়ার ব্যবস্থা করেন। স্নেহের পরশ, প্রচেষ্টা সহ বিভিন্ন প্রকল্পে তাদেরকে আর্থিক সাহায্যের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বাড়ি ফেরা পরিযায়ী শ্রমিকদের সব রকমের সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হচ্ছে। অন্যদিকে আমফান বিধ্বস্ত যে সমস্ত পরিবারের মাথা গোজার ঠাই নেই সেই সমস্ত পরিবারকে কুড়ি হাজার টাকা করে দেয়ার জন্য বরাদ্দ হয়েছে। সঠিক ক্ষয়ক্ষতি যাচাই করে তাদেরকে আর্থিক সাহায্য দেয়া হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের একাউন্টে টাকা দেওয়া হচ্ছে। পান বরজের টাকা থেকে শুরু করে যাবতীয় সাহায্য সহযোগিতা করা হচ্ছে বলে জানান বিধায়ক। আমফান বিধ্বস্ত খেজুরির দুটি ব্লক বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙ্গে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় বিদ্যুৎ পরিষেবা চালু করা হচ্ছে। করোনা এবং আমফান মোকাবিলায় রাজ্যের শাসক দলের নেতাকর্মীরা যখন ব্যস্ত তখন বিরোধী বিজেপি ও সিপিএম কে দেখতে পাওয়া যায়নি বলেও অভিযোগ করেন।এখন বিরোধীরা চক্রান্ত তৃণমূলের বদনাম করছে।
No comments