করোনা ভাইরাসের আতঙ্কের মধ্যেও সামান্য কিছু বিধি নিষেধ মেনে আর মাত্র পাঁচ দিন পর থেকে অর্থাৎ ১ জুলাই থেকে সমুদ্র স্নানের মজা নিতে পারবেন পর্যটকেরা । দিঘা পর্যটন কেন্দ্রের ১০০% হোটেল খুলে দেওয়ার বিষয়ে সবুজ সংকেত দিল দিঘা শংকরপুর …
করোনা ভাইরাসের আতঙ্কের মধ্যেও সামান্য কিছু বিধি নিষেধ মেনে আর মাত্র পাঁচ দিন পর থেকে অর্থাৎ ১ জুলাই থেকে সমুদ্র স্নানের মজা নিতে পারবেন পর্যটকেরা । দিঘা পর্যটন কেন্দ্রের ১০০% হোটেল খুলে দেওয়ার বিষয়ে সবুজ সংকেত দিল দিঘা শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদ। হোটেল খোলার বিষয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে হোটেল মালিক এবং দিঘা শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদের মধ্যে। যেখানে পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনিক আধিকারীকরাও উপস্থিত ছিলেন।
এদিনের বৈঠকে দিঘাকে পর্যটকদের জন্য সম্পূর্ণ উন্মুক্ত করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। পর্যটকরা সমূদ্রে স্নান করতেও পারবেন এবং দিঘার সৌন্দর্য উপভোগ করতে পার্ক সহ দর্শনীয় জায়গাগুলোতেও যেতে পারবেন।
এই মুহূর্তে দিঘায় ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় ৬০০ হোটেল রয়েছে। যার মধ্যে ৩০% হোটেল খোলার অনুমোদন আগে দিয়েছিল প্রশাসন। যার জন্য প্রায় ২০০ হোটেল খোলা হয়েছিল।
এই বৈঠকে হোটেলগুলিকে করোনা প্রতিরোধ সংক্রান্ত কিছু বিধি নিষেধ মেনে চলতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হোটেলের ৫০% ঘর ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ব্যবহার করতে হবে। পর্যটক ঢোকার আগে এবং বেরিয়ে যাওয়ার পর প্রতিটি ঘর স্যানিটাইজ করতে হবে।
পর্যটকরা হোটেলে ঢোকার সময় তাঁদের স্যানিটাইজ করতে হবে। পর্যটকদের গাড়িকেও স্যানিটাইজ করতে হবে। সেই সঙ্গে হোটেলের মধ্যে থাকা রেস্তোরাঁয় খাওয়ারের পরিবর্তে রুম সার্ভিসের মাধ্যমে প্রতিটি কামরায় খাওয়ার পৌঁছে দিতে হবে।
ডিএসডিএ'র প্রশাসন সুজন দত্ত জানিয়েছেন, করোনা সম্পর্কিত নির্দেশিকা হোটেলগুলি মানছে কিনা তা নজরে রাখতে একটি ৫ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কোনও হোটেল করোনা প্রতিরোধ সংক্রান্ত বিধি না মানলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনে কঠোর আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
No comments