দেশজুড়ে চলছে করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক। সেই জন্য লকডাউনে মানুষ গৃহবন্দি তার জন্য সরকারি ও বেসরকারি ভাবেসাহায্য দেওয়ার জন্য এগিয়ে এসেছেন বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এবং সাথে সাথে রাজ্য সরকারও। তারমধ্যে কুড়ি মে আম্ফানে ঘূর্ণিঝড়ের …
দেশজুড়ে চলছে করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক। সেই জন্য লকডাউনে মানুষ গৃহবন্দি তার জন্য সরকারি ও বেসরকারি ভাবেসাহায্য দেওয়ার জন্য এগিয়ে এসেছেন বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এবং সাথে সাথে রাজ্য সরকারও। তারমধ্যে কুড়ি মে আম্ফানে ঘূর্ণিঝড়ের পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এলাকায় বিধ্বংসী ঝড় কেড়ে নিয়েছে অনেকের জীবন। বড় বড় গাছ ইলেকট্রিক পোস্ট পুকুরের মাছ নষ্ট হয়েছে। দিনে দিনে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেকটাই বেড়েছে। আম্ফানের ঘূর্ণিঝড়ে ত্রাণ নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ উঠেছে দলবাজি হচ্ছে ।সেজন্যই জেলা প্রশাসন নতুন করে ক্ষয়ক্ষতির সার্ভে করার জন্য বলেছেন। আটকে গেছে বহু ব্যাংকে টাকা। ক্ষতিপূরণ পাচ্ছে না প্রকৃত যাদের ক্ষতি হয়েছে। সেই ধরনের একটি অভিযোগ জমা পরল নন্দীগ্রাম বিডিও অফিসের নিকট। মাটির দেওয়াল নিয়ে তিনজন পরিবার থাকেন।লকডাউন এর জন্য কাজকর্ম বন্ধ। ঘূর্ণিঝড়ে দেওয়াল ফাটল ধরেছে। পাইনি কোনো সরকারি সুযোগ-সুবিধা ।

মাটির দেয়াল চাপা পড়ার আগেই নন্দীগ্রাম বিডিও কাছে স্বেচ্ছায় মৃত্যু আবেদন করলেন। ঘটনাটি ঘটেছে নন্দীগ্রাম আমেদাবাদ ১ নম্বর অঞ্চলের অধীনে ১৫৭ নম্বর বুথে বাসিন্দা শক্তিপদ বেড়াও তার পরিবারের তিনজন। তিনি প্রতিবন্ধী তিনজনের পরিবারে থাকতাম সরকারিভাবে ১০০ ভাগ চোখে দেখতে পায় না তার সার্টিফিকেট রয়েছে।তা সত্ত্বেও কোনো সুযোগ-সুবিধা না পাওয়ার জন্য তার পরিবারের তিনজন স্বেচ্ছামৃত্যু অনুমতির আবেদন করলেন। একজন প্রতিবন্ধী ১০০ ভাগ থাকা সত্ত্বেও দীর্ঘদিন একটি মাটির বাড়িতে বসবাস করেন। এস সি সম্প্রদায়ের মানুষ হয়েও এখনো পর্যন্ত সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকে তিনি সম্পূর্ণ বঞ্চিত। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে পরিবারের দারিদ্রতা। যেকোনো রকম সরকারি সাহায্য থেকে তার পরিবারকে সম্পূর্ণরূপে বঞ্চিত। একাধিকবার আবেদন করেও কোনো কাজ হয়নি বলে জানালেন।এই ঘূর্ণিঝড়ে মাটির দেওয়াল এর অবস্থা খুব ভালো নয় যেকোনো মুহূর্তে দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যু হতে পারে তার আগেই বিডিওর কাছে স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন অনুমতি চাইলেন শক্তিপদ বেরা।
No comments