Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

হলদিয়ার জনক সতীশচন্দ্র সামন্ত তাপস কুমার মাইতি

তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকারের সর্বাধীনায়ক সতীশচন্দ্র সামন্ত। শিবপুর বেঙ্গল ইঞ্জিনীয়ারিং কলেজের ২য় বর্ষের ছাত্র অগ্রজসম নেতৃত্ব জননায়ক কুমারচন্দ্র জানা'র সাথে যোগদিলেন স্বাধীনতা আন্দোলনে। বৃটিশ ভারত সরকারের কারাগারে ৬ বারে প্রায় …



তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকারের সর্বাধীনায়ক সতীশচন্দ্র সামন্ত। শিবপুর বেঙ্গল ইঞ্জিনীয়ারিং কলেজের ২য় বর্ষের ছাত্র অগ্রজসম নেতৃত্ব জননায়ক কুমারচন্দ্র জানা'র সাথে যোগদিলেন স্বাধীনতা আন্দোলনে। বৃটিশ ভারত সরকারের কারাগারে ৬ বারে প্রায় ৭ বছর বন্দী হলেন তিনি। ১৯৫২ থেকে ১৯৭৭ পর্যন্ত তমলুক লোকসভার সাংসদ তিনি। হলদিয়ার রূপকার তিনি। স্বরনীয় বরনীয় পূজনীয় তিনি অখন্ড মেদিনীপুর জেলায়।

হলদিয়া ডক বা বন্দর তৌরীর একটি গল্পকথা আজ ইতিহাসের স্মৃতিকথা। নয়ের দশক ছাত্র রাজনীতির কর্মী তখন আমি। সতীশবাবুর সহকর্মী এক জাতীয়তাবাদী নেতৃত্ব গল্পটি বলেছিলেন।হলদিয়া তৈরীর এই গল্পগাথা। গল্প শেষে আমরা বুঝবো হলদিয়া ডক তৌরীর হক কথাটি।

সতীশবাবু পার্লামেন্টের ক্যান্টিনে দূপুরের আহার গ্রহন করে হাউসে ফিরছেন। পথ আটকে পন্ডিত জহরলাল নেহেরু ভারতের প্রধানমন্ত্রী..! সর্বাধীনায়ক ও পন্ডিতজী মুখোমুখি দাঁড়িয়ে। নেহেরু জহরকোর্ট থেকে একটি রুমাল বের করে সাংসদের মূখের সামনে ধরলেন..! তাম্রলিপ্তের তেজস্বী নেতা মুষ্টিবদ্ধ করলেন প্রধানমন্ত্রীর হাত! নেহেরু বললেন, আমি কি আমার নেতার 'দই মাখা গোঁফ' নিজের হাতে মুছে দিতে পারিনা! সতীশবাবু বললেন,আপনি নিশ্চয় পারবেন যদি আমাকে একটি কথা দেন... নেহেরু বললেন, কথা দিলাম। নিজের  হাতে সর্বাধীনায়কের গোঁফের দই পরিস্কার করে দিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।..

পন্ডিতজী বললেন,বলুন আপনার কথা। সতীশবাবু বললেন, মেদিনীপুর জেলায় সুতাহাটা থানায়  করতে হবে বন্দর ..! নেহেরু একটু থমকে! অবশেষে একমূখ হাসি নিয়ে বললেন, মেদিনীপুর জেলাতেই হবে বন্দর।আপনি খুশি তো..!

অখন্ড সুতাহাটার করেরচক মৌজায় ৪ একর জায়গা অধিগ্রহণ করে " অ্যঙ্কারেজ ক্যাম্প(Ancarage Camp)" তৈরী হলো। ১ নভেম্বর ১৯৫৯ কলকাতা বন্দর সহযোগী বন্দরের আত্মপ্রকাশ  ঘটলো অ্যঙ্কারেজে জাহাজের মাল ওঠা নামানোর মধ্য দিয়ে।
(শিলা স্থাপনের মধ্যে দিয়ে হলদী (Haldi) নদীর পাড়ে) HALDI নদীর নামের  সাথে Ancarage এর A সংযুক্ত করে HALDIA নামের জন্ম হলো! CPTর সহযোগী এই বন্দরের নাম হলো HALDIA DOCK COMPLEX।

কখনোই গল্পের মতো সহজ ছিল না বন্দর স্থাপন!
তৎকালীন সময়ে কংগ্রেসের বরিষ্ঠ বলিষ্ঠ বিশিষ্ট নেতৃত্ব বিজু পট্টনায়েক। তিনি চেয়েছিলেন ওড়িষ্যার বালেশ্বর জেলায় চন্দনেশ্বরের কাছে কোথাও বন্দর তৈরী হোক। বিজুবাবুর কঠিন বাধাকে লৌহকঠিন সর্বাধিকনায়ক জয় করলেন সেদিন!

আজকের হলদিয়া বন্দর শহর। হলদিয়া আজ শিল্পশহর। হলদিয়ার আজ ক্ষুদ্র ভারত। হলদিয়া আজ সুতাহাটার সংস্কৃতির লেশমাত্র অবশিষ্ট নেই।  ইতিহাস ঋদ্ধ অখন্ড সুতাহাটা থানার প্রায় দুইশত গ্রামের নাম বর্তমান প্রজন্ম জানে না। কারন গ্রামগুলি  হলদিয়ায় সংপৃক্ত আজ । ২০০৬ সালে সুতাহাটা বিধানসভার নাম পরিবর্তন হয়ে হলদিয়া বিধানসভা হলো! আজকের সুতাহাটার পরিচয় হলদিয়া শোভিত। ...দাবী উঠুক হলদিয়া পৃথক বন্দর নয় কেন! হলদিয়া বন্দরের নাম আজও সতীশ সামন্ত বন্দর নয় কেন!

No comments