আম্ফানের ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার হলদিয়া পঞ্চায়েত সমিতিও হলদিয়া পৌরসভা এবং সুতাহাটা পঞ্চায়েত সমিতি এলাকায়। তাদের ক্ষতিপূরণের তালিকা প্রস্তুত হয়েছিল এবং অনেকেই পাকার বাড়ি রয়েছে তারাও ক্ষতিপূরণ প…
আম্ফানের ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার হলদিয়া পঞ্চায়েত সমিতিও হলদিয়া পৌরসভা এবং সুতাহাটা পঞ্চায়েত সমিতি এলাকায়। তাদের ক্ষতিপূরণের তালিকা প্রস্তুত হয়েছিল এবং অনেকেই পাকার বাড়ি রয়েছে তারাও ক্ষতিপূরণ পেয়ে গিয়েছিল । এই অভিযোগ উঠে আছে। তাই জন্য সুতাহাটা পঞ্চায়েত সমিতি ইতিমধ্যে সমস্ত মানুষের পুনর্বিবেচনা করার জন্য পুনরায় নতুন তালিকা সংগ্রহ করছে। আগের তালিকা কে বাদ দেওয়া হয়েছে বলে জানালেন পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি তাপস কুমার মাইতি। হলদিয়া পৌরসভার ২৯ টি ওয়ার্ডে জেলা প্রশাসনের নির্দেশে বাড়ির জন্য ক্ষতিপূরণ স্থগিত হয়ে যায়।
জেলা প্রশাসনের নির্দেশে বাড়ির ক্ষতিপূরণের বিধান রাখা হয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ হলদিয়া ব্লকে পাকা বাড়ি-গাড়ির মালিক ব্যবসায়ী চাকুরীজীবীরা ক্ষতিপূরণের টাকা পেয়েছে। এদের মধ্যে অনেকেই পঞ্চায়েতের সদস্য রয়েছেন। অথচ গরিব মাটির বাড়ি ঝড়ে ধূলিসাৎ হয়েছে। এমন মানুষজন ক্ষতিপূরণ থেকে বঞ্চিত হয়েছে। বিরোধীদের অভিযোগ কোথাও তৃণমূল পার্টি অফিসে বসে ,কোথাও পাড়ার ক্লাবের সদস্যদের নামের তালিকা তৈরি করে পঞ্চায়েত কে দিয়েছে। মোবাইলে ছবি তুলে পাঠালে ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে বলে প্রচার করা হয়েছিল। সকলের স্মার্টফোন না থাকায় তাদের নাম তালিকায় স্থান পায়নি ।
হলদিয়া ব্লকের চকদ্বীপা গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য ও সঞ্চালক শ্রীকান্ত মাইতি ও তাঁর স্ত্রী শ্রাবন্তী মাইতি একাউন্টে বাড়ির ক্ষতিপূরণের কুড়ি হাজার টাকা তাদের একাউন্টে ঢুকেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
বাড় বাজিতপুর শ্রীকান্ত বাবুর বিরাট পাকা বাড়ি রাস্তার পাশের রডের দোকান স্করপিও গাড়ি রয়েছে। তিনি স্থানীয় একটি স্কুলের সম্পাদক ও। তার স্ত্রী শ্রাবন্তীদেবী প্রাক্তন পঞ্চায়েতের সদস্য ছিলেন। এই ঘটনায় হলদিয়া ব্লকে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে । তার স্ত্রীর অ্যাকাউন্টে ক্ষতিপূরণের টাকা ঢুকেছে বলে স্বীকার করেছেন শ্রীকান্ত বাবু। তবে তিনি জানালেন পঞ্চায়েতে তালিকা তৈরি করার সময় ভুল করেছে। সেই সময় সবাইকে হোয়াটসঅ্যাপে বাড়ির ছবি তুলে পাঠাতে বলা হয়েছিল। মাটির বাড়ি বা পাকা বাড়ি আলাদা করে বলা হয়নি। তবে এই টাকা আমরা চেকের মাধ্যমে ফেরত দিয়ে দেব।
ওই ব্লকে পাকা বাড়ি থাকা সত্ত্বেও অন্যত্র মাটির বাড়ি দেখি টাকা নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে এক উপ-প্রধানের বিরুদ্ধে। ব্রজলাল চক বাজার সংলগ্ন এক ব্যবসায়ী দোতলা বড় পাকা বাড়ি তার পরিবারের তিন জনের নামে ক্ষতিপূরণের টাকা এসেছে বলেও অভিযোগ।
বঞ্চিত স্থানীয় কলোনি এলাকার গরিব মানুষজন।ওই ব্যবসায়ীর বাড়ি ঘেরাও করে। হলদিয়া পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুব্রত হাজরা বলেন শ্রীকান্ত মাইতি নামে ওই পঞ্চায়েত সদস্যকে টাকা ফেরত দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাড়াহুড়ো করে তালিকা তৈরি করতে গিয়ে এই ধরনের বেশ কিছু ভুল হয়েছে ।সেজন্য দ্বিতীয় দফায় সতর্কতার সঙ্গে কাজ করা চলছে। তিনি আরো জানান দ্বিতীয় দফায় আড়াই হাজার জনের তালিকা তৈরি করতে গিয়ে পঞ্চায়েত ব্লক প্রশাসনে নাস্তানাবুদ হতে হচ্ছে।
একই পরিবারের চারজন আলাদা করে ক্ষতিপূরণের আবেদন করেছে। ক্ষতিপূরণের প্রায় কুড়ি হাজার আবেদন জমা পড়েছে। স্বামী স্ত্রী আলাদা আবেদন করলেও একই অ্যাকাউন্ট নম্বর দিয়েছে। স্কুটিনি সময় সেগুলি ধরা পড়েছে।হলদিয়া ব্লকের সমষ্টি আধিকারিক (বিডিও) তুলিকা দত্ত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন তা নিয়ে ব্লক এ বৈঠক হবে ধরা হয়েছে
No comments