আম্ফান ঘূর্ণিঝড়,এই শতাব্দীর প্রথম বড় সুপার সাইক্লোন। মূলত রাজ্যের দক্ষিণবঙ্গ ও উড়িষ্যার উপকূল অঞ্চল তছনছ করে দিয়ে চলে গেছে এই দৈত্য।আর তার থাবায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে আমাদের চারপাশ।
উপড়ে গেছে বড়ো বড়ো গাছ,তারের জঙ্গল ন…
আম্ফান ঘূর্ণিঝড়,এই শতাব্দীর প্রথম বড় সুপার সাইক্লোন। মূলত রাজ্যের দক্ষিণবঙ্গ ও উড়িষ্যার উপকূল অঞ্চল তছনছ করে দিয়ে চলে গেছে এই দৈত্য।আর তার থাবায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে আমাদের চারপাশ।
উপড়ে গেছে বড়ো বড়ো গাছ,তারের জঙ্গল নিয়ে পড়ে আছে বিদ্যুতের খুঁটি।আর এর মধ্যেই বাসা হারিয়ে বাস্তুহারা হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে নানা পাখির দল।তাদের জন্য তো কোনো ত্রান নেই।এবার এই বাসস্থান হারা পাখিদের জন্য বিশেষ ভাবে কৃত্রিম বাসা তৈরীর উদ্যোগ নিল এগরার পঁচেট জুয়েল সটার ক্লাব।সদস্যরা উদ্যোগ নিয়ে গাছের ওপর রেখে দিচ্ছেন ছোটো ছোটো ঝুড়ি ও মাটির কলসি।খড় ও শুকনো পাতা,বট গাছের ঝুরি রাখা হয়েছে কৃত্রিম বাসায়।যাতে সাময়িকভাবে পাখিরা আশ্রয় খুঁজে নিতে পারে।৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে এমনই উদ্যোগ নিয়ে এগিয়ে এসেছে পঁচেট জুয়েল সটার ক্লাবের সদস্যরা।ইতিমধ্যেই পাখি সংরক্ষণের জন্য এই অভিনব কাজে প্রশংসা পেয়েছে সব স্তর থেকে।পঁচেটের বাজার,সমিতি,রাজবাড়ী এলাকা চিহ্নিত করে বিভিন্ন গাছে ছোটো ছোটো ঝুঁড়ি ও মাটির কলসি বেঁধে রেখে এসেছে ক্লাবের সদস্যরা।যাতে অন্তত কিছুটা হলেও পাখিদের বাসার সমস্যা দূর হয়।
তবে এই টিমের সদস্যদের ভরসা পাখিরা ঘুরে দাঁড়াবেই।তারা নিজেদের বাঁসা নিজেরাই তৈরী করে নেবে একদিন। আপাতত সামান্য একটু ক্ষতিপূরণের জন্য এই কর্মসূচী বলে জানিয়েছেন ক্লাবের কর্মকর্তা সৈকত মাইতি। এমনিতেই সারা বিশ্বে জনবসতি বৃদ্ধি ও গ্রাম-নগর উন্নয়নের জন্য গাছ কাটা হচ্ছে প্রতিনিয়ত।ফলে শেষ হচ্ছে প্রকৃতি রসদ।সেইসঙ্গে বিপদে পড়েছে উদ্ভিদ ও প্রাণীজগৎ। গাছের সঙ্গে পাখিদেরও সমান ক্ষতি হচ্ছে।এনিয়ে নানা সময় অভিযোগে তুলেছেন পরিবেশবিদরা। কোনো প্রকার পরিবর্তন হয়নি।এই গাছ কাটা আজও থামেনি।ফলে নষ্ট হচ্ছে প্রকৃতির ভারসাম্য।যদিও সেখানে পাখিদের ক্ষতি হতো ধীরে ধীরে। কিন্তু,আচমকাই আমপান নামক ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় আসায় পাখিদের বড়ো ক্ষতি হয়েছে।বহু ছোটো বড়ো গাছ ভেঙ্গেছে।সেইসঙ্গে অনেক পাখি মারা গেছে ও পাখির বাসা ভেঙ্গে গেছে।কাজেই উদ্বাস্তু জীবন কাটাতে হচ্ছে তাদের।প্রথম দিনেই তারা ৫০টি কৃত্রিম পাখির বাসা বানিয়ে এলাকার বিভিন্ন গাছে বাঁধে এবং পাখি সংরক্ষণের বার্তা প্রদান করে তারা।আগামীদিন থেকে এই কর্মসূচির উপর জোর দেবে বলে জানিয়েছেন ক্লাবের কর্মকর্তারা।
এছাড়াও এদিন হরিতকি,বকুল,ছাতিম,লেবু ও পেয়ারা গাছ লাগানো হয়। স্থানীয় লোকজন তাদের কাজে হাত মিলিয়েছে।
No comments