জন্মদিন প্রতি বছরই আসে কিন্তু এই রূপ মহামারী তাদের জীবনে এখনো পর্যন্ত আসেনি। আর তাই ভাবতে বাধ্য হয়েছে এই দুটি কুসুম। কাঁথির এই যমজ দুই কন্যা জন্মদিনের সেলিব্রেশনের টাকায় গরীব বাচ্চাদের দুধ,একলিটার করে সরষের তেল,রান্নার যাবতীয় মশ…
জন্মদিন প্রতি বছরই আসে কিন্তু এই রূপ মহামারী তাদের জীবনে এখনো পর্যন্ত আসেনি। আর তাই ভাবতে বাধ্য হয়েছে এই দুটি কুসুম। কাঁথির এই যমজ দুই কন্যা জন্মদিনের সেলিব্রেশনের টাকায় গরীব বাচ্চাদের দুধ,একলিটার করে সরষের তেল,রান্নার যাবতীয় মশলা,ডিম ১৫ টি,সাবান,সয়াবিন সহ যাবতীয় খাদ্য সামগ্রী তুলে দিল পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি পুর এলাকার প্রায় ২৫০ দারিদ্র সীমার নীচে বসবাস কারী পরিবারের হাতে।জেলা জুড়ে অনেকেই যখন চাল আলু পেয়াজ দান করছেন শুধু তাই নয় সরকারী ভাবে ও রেশনে চাল গম দেওয়া চলছে। বাকী সমস্যার কথা মাথায় এসেছে এই দুই ক্ষুদে পড়ুয়ার।বাবা দীপঙ্কর পাত্র পেশায় দিঘা শংঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের এক ইঞ্জিনিয়ার, মা লাভলি পাত্র মিত্র একজন শিক্ষিকা। খবরে বিভিন্ন জন শুধু চাল গম আলু দিচ্ছে দেখে মেয়েদের মাথায় আসে। বাচ্চাদের তরকারী মশলা তাহলে কেউ পাচ্ছেনা।পাচ্ছেনা ডিম মাছ। তাই তারা বাবা মায়ের কাছে আবদার করেছিল।মেয়েদের আবদার শুনে এই সব দান সামগ্রী তূলে দিলেন ।তাদের বাবা মা মেয়েদের এমন চিন্তা ভাবনায় খুশি হয়ে জন্মদিনের অনুষ্ঠানে যা খরচ হত তার দ্বি-গুন টাকার খাদ্য সামগ্রী দানে এগিয়ে আসেন তারা।আর খুদেদের এমন প্রয়াসে জেলার স্বেচ্ছ্বাসেবীদের পরবর্তী দানের ক্ষেত্রে বাচ্চাদের তরকারী মশলার বিষয়ে ভাবিয়ে তুলবে।যদিও দুই শিশু প্রচারের আলোয় আসতে লজ্জা বোধ করেছে।
No comments