Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

হলদিয়ার দুর্গাচকে এক হাতুড়ে ডাক্তারের করোনা ধরা পড়ায় শিল্পশহরে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে

হলদিয়ার দুর্গাচকে এক হাতুড়ে ডাক্তারের করোনা ধরা পড়ায় শিল্পশহরে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। ঊনসত্তর বছর বয়স্ক ওই ডাক্তার গত ২৮ মার্চ রাত্রি ৯টা ৪৫মিনিট নাগাদ হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালে তীব্র শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভর্তি হন। তারপর তাঁকে তমলুকে রেফা…




হলদিয়ার দুর্গাচকে এক হাতুড়ে ডাক্তারের করোনা ধরা পড়ায় শিল্পশহরে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। ঊনসত্তর বছর বয়স্ক ওই ডাক্তার গত ২৮ মার্চ রাত্রি ৯টা ৪৫মিনিট নাগাদ হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালে তীব্র শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভর্তি হন। তারপর তাঁকে তমলুকে রেফার করা হয়। ওই ব্যক্তির পরিবারের লোকজন তাঁকে তমলুকের একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করেন। সেখানে কলকাতার এক চিকিৎসকের অধীনে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তাঁর ক্রনিক নিউমোনিয়ার চিকিৎসা চলছিল। পরে অবস্থার অবনতি হলে কলকাতার কলম্বিয়া এশিয়া হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। করোনা সন্দেহে তাঁর লালারস পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ জানা যায় ওই ব্যক্তির করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট 'পজিটিভ' এসেছে। বিকেল নাগাদ এই খবর জানাজানি হওয়ার পর শিল্পশহরে চাঞ্চল্য ছড়ায়। পূর্ব মেদিনীপুরের চিফ মেডিকেল অফিসার নিতাইচন্দ্র মণ্ডল বলেন, হলদিয়ার দুর্গাচক টাউনের এক বাসিন্দার করোনা পজিটিভ ধরা পড়েছে। হলদিয়ার প্রশাসনকে সতর্ক থাকার কথা বলা হয়েছে। ওই ব্যক্তির একটি ওষুধ দোকান রয়েছে। তিনি নিউমোনিয়ায় ভুগছিলেন। ওই ব্যক্তির সংস্পর্শে এসেছেন এমন ১০জনকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য দুর্গাচক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তি হলদিয়ার একটি বেসরকারি শিল্প সংস্থায় চিকিৎসকের সহযোগী হিসাবে কাজ করতেন। কয়েক বছর আগে অবসর নেন। তাঁর বাড়ি দুর্গচক টাউনের 'বি' ব্লকে। কিছুটা দূরে 'ডি' ব্লকে তাঁর একটি ছোট ওষুধ দোকান ও ডিসপেনসারি রয়েছে। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৬মাস ধরে তিনি নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। মাঝে মাঝে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে তমলুকে ভর্তি করতে হত। কিছুদিন আগে তিনি চেন্নাই গিয়েছিলেন। গত ১৩মার্চ তিনি চেন্নাই থেকে হলদিয়া ফেরেন। কীভাবে করোনা সংক্রমণ ঘটল তা চিন্তায় ফেলেছে চিকিৎসকদের। তবে তাঁর ট্রাভেল হিস্ট্রি খুঁজতে গিয়ে এই তথ্য মিলেছে। ওই সময়ে চেন্নাইতে করোনা সংক্রমণ শুরু হয়েছিল। ট্রেনে আসার সময়ে কোনভাবে সংক্রমণ ঘটেছে কিনা তা খুঁজে দেখার চেষ্টা হচ্ছে। তবে হলদিয়া শিল্পশহরের জনবহুল এলাকায় এভাবে করোনা সংক্রমণের ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে পুরপ্রশাসন। এদিন এই বিষয়টি জানার পরই চেয়ারম্যান শ্যামলকুমার আদক বৈঠক করেন। ওই ব্যক্তিকে হলদিয়া উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ট্রমা অ্যাম্বুলেন্সে করে তমলুক থেকে কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। বৃহস্পতিবার পুরসভায় খবর আসার পরই ওই ট্রমা অ্যাম্বুলেন্সকে সোডিয়াম হাইপো ক্লোরাইড দিয়ে স্যানিটাইজ করা হয়। অ্যাম্বুলেন্সের ড্রাইভার ও সহকারিকেও আইসোলেশনে পাঠানো হচ্ছে। হলদিয়ায় করোনা ধরা পড়ার পর এখন তটস্থ শিল্পশহর। ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন।





No comments