লক ডাউন নিয়ে দেশে জারি রয়েছে সতর্কতা। করোনা-র বিরুদ্ধে লড়াইতে ভূমিকা নিয়েছে রাজ্য এবং কেন্দ্রের সরকার। প্রধানমন্ত্রী হাত জড়ো করে জানিয়েছেন কোনভাবেই খুব প্রয়োজন ছাড়া বাড়ি থেকে না বেরতে। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় …
লক ডাউন নিয়ে দেশে জারি রয়েছে সতর্কতা। করোনা-র বিরুদ্ধে লড়াইতে ভূমিকা নিয়েছে রাজ্য এবং কেন্দ্রের সরকার। প্রধানমন্ত্রী হাত জড়ো করে জানিয়েছেন কোনভাবেই খুব প্রয়োজন ছাড়া বাড়ি থেকে না বেরতে। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে সচেষ্ট হয়েছেন লকডাউন কে সফল করতে। কেন্দ্র আর রাজ্যের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেনি কোন রাজনৈতিক দল। সবাই মিলে করোনার মত বিপদ কে প্রতিহত করার চেষ্টা চলছে।
অন্যদিকে রাজ্যে লকডাউন কে সফল করতে সচেষ্ট হয়েছে পুলিশ ও। কিন্তু এমন একটি ঘটনা ঘটল যা রীতিমত ভয়ের। লকডাউনের মধ্যে রাস্তায় বেরিয়ে, পুলিশের লাঠির ঘায়ে এক ব্যক্তির মৃত্যুর অভিযোগ উঠল। বুধবার সন্ধেয় এই ঘটনা ঘটেছে হাওড়ার সাঁকরাইলের বানিপুর এলাকায়।
মৃতের স্ত্রী অভিযোগ করেছেন তাঁর স্বামী দুধ কিনতে বেরিয়েছিলেন সন্তানের জন্যে। সেই সময়েই রাস্তা ফাঁকা করতে লাঠি চালায় পুলিশ। পুলিশের লাঠির আঘাতে লুটিয়ে পড়েন তাঁর স্বামী ৩২ বছরের যুবক, নাম লাল।
আহত যুবক কে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। যদিও পুলিশ দায় অস্বীকার করেছে।হাওড়া সিটি পুলিশের ডিসি সাউথ রাজ মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, যুবক হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন! মৃতের স্ত্রী এই ঘটনার বিচার চেয়েছেন!
প্রশ্ন উঠছে করোনা সংক্রমনে মৃত্যু এড়াতে গিয়ে যদি পুলিশের লাঠিতে ৩২ বছর বয়সী যুবকের মৃত্যু হয় তাহলে উপকৃত কে হল? নজরবন্দির পক্ষ থেকে আবেদন ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত করা হোক এবং মৃতের স্রীকে ক্ষতিপূরন দেওয়া হোক। এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেন ব্যাপারটি নিয়ে হস্তক্ষেপ করেন নিজে যাতে রাজ্যে এমন ঘটনা আর না ঘটে।
No comments