Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জংগলে বাঘ নয় অন্য মাংসাশী প্রাণীদের গণনা হচ্ছে

১২ই মার্চ থেকে ১৪ই মার্চ পর্যন্ত তিনদিন ব্যাপি চলবে এই গননা। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গলে মাংসাশী প্রানীদের মধ্যে  বাঘ ছাড়াও রয়েছে ক্লাউডেট লেপার্ড,লেপার্ড, ব্ল্যাক পেন্থার,গোল্ডেন ক্যাট এছাড়াও জংলী কুকুর।বনদফতর সুত্রে  জানা গ…





১২ই মার্চ থেকে ১৪ই মার্চ পর্যন্ত তিনদিন ব্যাপি চলবে এই গননা। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গলে মাংসাশী প্রানীদের মধ্যে  বাঘ ছাড়াও রয়েছে ক্লাউডেট লেপার্ড,লেপার্ড, ব্ল্যাক পেন্থার,গোল্ডেন ক্যাট এছাড়াও জংলী কুকুর।বনদফতর সুত্রে  জানা গিয়েছে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্প ছাড়া  উত্তরবঙ্গের অন্যান্য বনাঞ্চলে ১২০ টি দল এই গণনার কাজ  করছেন।  বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের আধিকারিকদের মতে এই গননা যথেষ্ট ফলপ্রসূ হবে । বনদফতর সুত্রে জানানো হয়েছে  মাংসাশী প্রাণী দের এই গণনার সময় রয়েল বেঙ্গল টাইগারের গণনা হচ্ছে না। আলাদাভাবে যেহেতু রয়েল বেঙ্গল টাইগারের গননা হয় সেই কারণে এই দফায় রয়েল বেঙ্গল টাইগারের গণনা হচ্ছে না। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের ক্ষেত্র অধিকর্তা শুভঙ্কর সেনগুপ্ত বলেন, " এটি চতুর্থ দফার মাংসাশী প্রাণী দের গণনা। তৃণভোজী প্রাণীদের গণনা হচ্ছে। একইসঙ্গে মাংসাশী প্রাণীর গণনা হচ্ছে আমাদের এই বনাঞ্চলে। স্বাভাবিকভাবেই এখন বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গলে ব্যস্ততা তুংগে। এই বনাঞ্চলের জীব-বৈচিত্র অত্যন্ত উন্নতমানের। সেই কারণে আমরা আশা করছি এই বনাঞ্চলে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ মাংসাশী প্রাণীর সন্ধান পাওয়া যাবে।" উল্লেখ্য  ১৯৮২ সালে আলিপুরদুয়ার জেলার  বক্সার জঙ্গল বক্সা টাইগার রিজার্ভ হিসাবে স্বীকৃতি পায়। মোট ৭৬০ বর্গকিমি এলাকা জুড়ে বক্সা টাইগার রিজার্ভের ৪০০ বর্গকিমি এলাকা সংরক্ষিত জঙ্গল। বাকিটা বাফার এলাকা। শেষ ২০ বছরে এই জঙ্গলে সরাসরি বাঘেদের তেমন কোন অস্তিত্ব লক্ষ্য করা যায়নি। সেই কারনে বাইরে থেকে বাঘ এনে এই বনাঞ্চলের হারিয়ে যাওয়া গৌরব ফেরাতে উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য বনদফতর।  তবে সম্প্রতি বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গলের পূর্ব বিভাগের জঙ্গলে জোড়া ব্ল্যাক প্যান্থার দেখা মেলায় আলোড়ন  পড়ে গিয়েছিল। ব্ল্যাক প্যান্থার ছাড়াও এরআগে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গলে ক্লাউডেড লেপার্ড সহ নানান বিরল প্রজাতির মাংসাশী প্রাণীর সন্ধান মিলেছে। এই অবস্থায় এই বনাঞ্চলে মাংসাশী প্রাণী দের গণনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন অয়াকিবহল মহল।

No comments