নিজস্ব সংবাদ এগরা কাঁথি: পূর্ব মেদিনীপুরঃ গত ৯ই সোমবার দোলপূর্ণিমার দিন সকালে এগরা- কুদি রাজ্য সড়কের শনি মন্দির নিকটস্থ আইলান কালভার্টের নীচে টলি ব্যাগবন্দী এক মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার ময়নাতদন্ত পাঠায় এগরা পুলিশ।ঘটনার ৭ দিনের ম…
নিজস্ব সংবাদ এগরা কাঁথি: পূর্ব মেদিনীপুরঃ গত ৯ই সোমবার দোলপূর্ণিমার দিন সকালে এগরা- কুদি রাজ্য সড়কের শনি মন্দির নিকটস্থ আইলান কালভার্টের নীচে টলি ব্যাগবন্দী এক মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার ময়নাতদন্ত পাঠায় এগরা পুলিশ।ঘটনার ৭ দিনের মাথায় কিনারা করতে সমর্থ হল জেলা পুলিশ সুপার ইন্দিরা মুখার্জীর নেতৃত্বাধীন এগরা পুলিশ। ঘটনায় জড়িত -৪ জনকে রবিবার গ্রেপ্তার করে। ধৃতদের আজ সোমবার কাঁথি আদালতে তোলার আগে সাংবাদিক সম্মেলনে হাজির করেন জেলা পুলিশ সুপার ইন্দিরা মুখার্জী। তিনি জানান দমদম থেকে গ্ৰেফতার হয়েছে মূল অভিযুক্ত সৌরভ দে(৩০) কে সে পেশায় টোটোচালক, গ্ৰেফতার তার স্ত্রী মৌমিতা দে(২৭), মৌমিতার বাবা ছত্রি পঞ্চায়েতের বড় নিহারী গ্রামের নারায়ণ চন্দ্র শী ও নারায়ণের বন্ধু দমদম ক্যান্টনমেন্ট এর ৩নং গেটের ব্যাগ ব্যবসায়ী যার কাছ থেকে ট্রলিব্যাগটি নিয়ে মৃত দেহ আনাহয় সেই আইলান গ্রামের রমাকান্ত জানা। আজ পুলিশ ধৃতদের কাঁথি আদালতে এগরা পি এস ১৭২/২০০০মামলায় তোলেন ও ঘটনার পুন:নির্মাণে ১০ দিনের পুলিশ রিমান্ডের আবেদন জানাচ্ছেন বলে জানান। পরবর্তীকালে খুনের মোটিভ সাংবাদিকদের সামনে তুলবেন বলে প্রেস মিট জানান জেলা পুলিশ সুপার। সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন এগরা এসডিপিও সেখ আক্তার আলি, কাঁথির এস ডি পি ও অভিষেক চ্যাটার্জী, সি আই এগরা দেবাশীষ সরকার, এগরা থানার ওসি কাশীনাথ চৌধুরী, কাঁথি মহিলা থানার ও সি অনুষ্কা মাইতি। বিস্তারিত জানতে ভিডিওটি ক্লিক করুন
এ দিকে সাংবাদিক সম্মেলনের পরে কাঁথি থানা চত্তরে উপস্থিত মৃতা অনিতা দাস (৩০) এর স্বামী সোমনাথ দাস জানান তার স্ত্রীর সঙ্গে দীর্ঘ তিন বছর বনিবনা না হওয়ায় সে তার বাবার বাড়ির কাছে দমদমের বামুনগাছিতে ভাড়া বাড়িতে ষষ্ঠ শ্রেণীর পড়ূয়া মেয়ে অদিতি দাস(১২)কে নিয়েই থাকত । ধৃত সৌরভ তার স্ত্রীকে প্রায়ই উত্যক্ত করত, এই নিয়েই পরিবারে অশান্তি হয়, বিষয়টি তিনি সৌরভকেও বোঝানোর চেষ্টা করেছেন, সংশ্লিষ্ট থানায় সৌরভ এর বিরুদ্ধে অভিযোগ করি। ঘটনার পরিবর্তন কিছু হয়নি। মৃতার অষ্টম শ্রেণীর পড়ূয়া ছেলে অলক দাস (১৫) বাবার কাছে থাকতো ।অনুমান সৌরভের কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তাকে খুন করা হয়েছে।তিনি ঘটনাটি গতকাল রবিবার ১৬ মার্চ দুপুরে এগরা থানা থেকে ফোন পাওয়ায় জেনেছেন বলে জানান। তদন্ত করে সব জেনে এগরা পুলিশ এগরার এক ভাড়া বাড়ি থেকে সৌরভের স্ত্রী মৌমিতা দাস কে ও মৃত অনিতার আটকে রাখা মেয়ে অদিতি দাস কে উদ্ধার করেছে। মৃত অনিতা দাস বাড়ি বাড়ি গিয়ে আয়ার কাজ করত ।মৌমিতা ওরফে মিতালী অনিতা কে কাজ পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বাড়ি থেকে বেরকরে আনে সঙ্গে আনে মেয়ে অদিতি কে ও।এরপর ওদের আটকে রেখে অনিতা কে খুন করে ,আর তার মেয়ের উপর প্রচন্ড অত্যাচার চালায়। পুলিশ অদিতির কাছথেকে আসল ঘটনা উদ্ধার করতে পেরেছে অনুমান সোমনাথের। পুলিশ ঘটনার আসল মোটিভ উদ্বারে তদন্ত করছে।
No comments