নন্দীগ্রাম:পূর্ব মেদিনীপুরঃ দিনটা ছিল ২০০৭ সালের ১০ই নভেম্বর। বাম হার্মাদ গোষ্ঠীর হাতে আজকের এই শস্য শ্যামলা নন্দীগ্রাম এক মুহূর্তে হয়ে উঠেছিল রকত স্নাত। একদিকে বন্দুকের গুলি, অপরদিনে স্বজন হারানোর কান্না সবকিছু মিলেমিশে যেন ব্র…
নন্দীগ্রাম:পূর্ব মেদিনীপুরঃ দিনটা ছিল ২০০৭ সালের ১০ই নভেম্বর। বাম হার্মাদ গোষ্ঠীর হাতে আজকের এই শস্য শ্যামলা নন্দীগ্রাম এক মুহূর্তে হয়ে উঠেছিল রকত স্নাত। একদিকে বন্দুকের গুলি, অপরদিনে স্বজন হারানোর কান্না সবকিছু মিলেমিশে যেন ব্রিটিশ আমলের ভয়াবহতা। চারিদিকে শুধু কান্নার হাহাকার। নন্দীগ্রামের কৃষক পরিবারগুলির কাছ থেকে শান্তি যেন চিরতরে হারাতে বসেছিল। নির্মম বর্বরতা শাসক কূলের মনুষ্যত্বকে ধুলোয় মিশিয়েছিল।ঠিক সেই সময় দেবদূতের মতো আবির্ভাব হল বাংলা মায়ের বীর সন্তান তথা বর্তমান পরিবহন মন্ত্রী
শুভেন্দু অধিকারীর। তাঁর নেতৃত্বে শুরু হল বুকচেরা লড়াই। নন্দীগ্রামের মাটিতে ধীরে ধীরে নেমে এলো শান্তির ভোর। স্বজন হারানো মানুষগুলো দুঃখ ভুলে দেখতে শুরু করলো নতুন স্বপন। মানুষগুলো তাদের স্বজনকে ফিরে পায়নি ঠিকই, কিন্ত বাংলার দামাল ছেলের নেতৃত্বে বুকচিরে করা লড়াই হার না মানা কঠিন জেদ নন্দীগ্রাম বাসী মানুষগুলোকে ফিরিয়ে দিয়েছিল। সেই দিনটিকে স্মরণে রেখে আজ নন্দীগ্রামে পালিত হল শহিদ দিবস। আজ,শনিবার শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর উদ্দেশ্যে নন্দীগ্রামের গোকুলনগরে উপস্থিত হন ততকালিন যোদ্ধা তথা বর্তমান পরিবহন মন্ত্রী শুভেন্দু আধিকারী।
তাছাড়া এদিন শহীদ বেদীতে মাল্যদান করে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
শুভেন্দুবাবু সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, জালিয়ানওয়ালাবাগের হত্যা কান্ড আজও মানুষ ভুলতে পারেনি, তাই নন্দীগ্রাম শহিদ দিবসও মানুষ ভুলছেনা, ভুলবেনা।হাজার বছর ধরে পালিত হবে এই শহিদ দিবস।
No comments